বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রতিভা অন্বেষণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতার যশোর আঞ্চলিক পর্যায়ের বাছাই পর্ব বুধবার সকাল থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্রথম দিনে আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী ৬শ’র মধ্যে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছে ২০৮ জন। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার রওনক জাহান প্রতিযোগিতা কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অংশগ্রহণকারীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম, তথ্য অফিসার এলিন সাঈদ উর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের কন্ট্রোলার আনোয়ার সাদাত, প্রযোজক এল রোমাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় যশোর অঞ্চলে (যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইল) ২ গ্রুপে চার হাজার একশথ নিরানব্বই জন প্রতিযোগী অডিশনে অংশ নিচ্ছে।
ইয়েস কার্ড প্রাপ্তরা খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিযোগিতায় বিষয়ভিত্তিক বিভাগের মধ্যে অভিনয় বিভাগে অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা বা কৌতুক, নৃত্য বিভাগে আছে সাধারণ নৃত্য বা উচ্চাঙ্গ নৃত্য এবং সংগীত বিভাগে দেশাত্মবোধক বা আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত ও হামদ-না’ত। ৬ থেকে ১১ বছরের নিম্নে (ছেলে -মেয়ে উভয়) ‘ক’ শাখা এবং ১১ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত (ছেলে-মেয়ে উভয়) ‘খ’ শাখা শাখা।
এদিকে, প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিসহ গোটা এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যশোর অঞ্চলভুক্ত সব জেলা এবং উপজেলা থেকে প্রতিযোগিসহ অভিভাবক এবং কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ‘নতুন কুঁড়ি’র এই আয়োজন।
বিচারকের আসনে ছিলেন রবীন্দ্র সংগীতে মতিউর রহমান ও গোলাম হায়দার, নজরুল সংগীত ও হামদ নাতে তানভীর আলম সজীব, সুকন্যা মজুমদার, রুমি আজনবী, লোক সংগীতে আজগর আলীম, নোশিন লায়লা, আধুনিক গানে আলম আরা মিনু, মুহিন খান, সমরজিৎ, মিল্টন খন্দকার, নৃত্যে ওয়াহিদা রহমান পাপড়ি, ডলি ইকবাল, মনিরা পারভীন হ্যাপি এবং অভিনয়, গল্পবলা ও কৌতুকে মীর আহসান, আবু হেনা রনি, আবৃত্তিতে মেহেদি হাসান আকাশ ও মাহবুবুর রহমান টুলু।