বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পৌরসভার সার্ভেয়ার (ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার শহরের বকচর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তুনু কুমার মন্ডল অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। অপর আসামিরা হলেন, বকচর হুশতলা এলাকার মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে বাহাউদ্দিন আহেম্মদ ও পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার শেখ আব্দুল ওয়াজেদের ছেলে শেখ আশরাফুর রহমান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ বকচর মৌজার এসএ ২৩৭ ও আরএস ৬০২ দাগের ২ দশমিক ৪২ শতক জমি ক্রয় করেন অ্যাডভোকেট শেখ তাজ হোসেন তাজুর কাছ থেকে। জমির চৌহদ্দি অনুযায়ী পূর্বে ৮ ফুট রাস্তা ম্যাপে উল্লেখ আছে। তিনি পৌরসভা থেকে ভবনের নকশা অনুমোদন ও ভবন নির্মাণ করে বসবাস করছেন। ইসতিয়াকের জমির পাশের জমি তহমিনা খাতুন, এমদাদ হোসেন ও নাহিদা ফেরদৌস মুক্তার কাছে বিক্রি করেন আসামি শেখ আশরাফুর রহমান। আসামি শেখ আশরাফুর রহমান জমি বিক্রি সময় দশমিক ৪৮ শতক জমি রাস্তা হিসেবে উল্লেখ করে বিক্রি করেছিলেন ইসতিয়াকের জমির মালিকের কাছে।
২০২৪ সালের ৮ মার্চ আসামি বাহাউদ্দিন, আশরাফুর ও জামিয়া কোরআনীয়া মাদ্রাসার সম্পাদক আব্দুল শহিদ লোকজন নিয়ে এ জমি মাপজোক করেন। এ সময় তারা রেজিস্ট্রি করা নয় এমন একটি বিনিময় দলিল দেখিয়ে এ রাস্তার ভিতর তাদের জমি আছে ব্যবহার দাবি করে।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৭ মার্চ ইসতিয়াক আহমেদ নির্বাহী আদালতে একটি মামলা করেন। যার সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন যশোর পৌরসভাকে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ পৌরসভার সার্ভেয়ার (ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের কাগজপত্র গ্রহণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান আসামিদের সাথে যোগসাজসে জাল বিনিময় পত্র ও মৃত ব্যক্তির নোটারি পাবলিকের সীল স্বাক্ষর যুক্ত কাজগপত্র সত্য বলে আদালতে জমা দেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।