বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বুধবার সকালে যশোরের যশোর সদর ও কেশবপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন নেতাসহ মোট দুইজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মাছের ঘেরে কাজ করছিলেন এবং অন্যজনও একই কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ায় মাছের ঘেরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন বসুন্দিয়া ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাকিম সরদার (৬৫)। তিনি বসুন্দিয়ার খোলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে বৃষ্টির মধ্যে হাকিম সরদার তার নিজ মৎস্য ঘেরে কাজ করছিলেন। এসময় আকস্মিক বজ্রপাত ঘটলে তিনি আহত হন। পাশের ঘেরে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল আজিজ জানান, বজ্রপাতে হাকিম সরদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার নামাজে জানাজা আসরবাদ খোলাডাঙ্গা আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
একই দিন সকালে যশোরের কেশবপুর উপজেলায় মাছের ঘেরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান শামিম হোসেন (২৫) নামে এক যুবক। তিনি উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বেলকাটি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম সাগরদত্তকাটি গ্রামের আমতলা এলাকায় একটি মৎস্য ঘেরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শামিম দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি পিতা-মাতা, স্ত্রী এবং তিন বছরের এক শিশুপুত্রকে রেখে গেছেন।