বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠ থেকে ঘাস কেটে ফেরার পথে স্থানীয় শংকর নামে এক যুবক তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এরপর ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণপাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। ঘটনার পরে অভিযুক্ত শংকর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এদিকে পরকীয়ার জেরে গৃহবধূ খুনের শিকার হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ পেশায় ভ্যান চালক। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সাথে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সাথে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে, তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর।
সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মণিরামপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নড়াইল এলাকায় পৌঁছালে সন্ধ্যায় তৃপ্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সাথে শংকরের পরকীয়া চলছিল, যা এলাকার গুঞ্জন ছিলো। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটা বাড়ি দাবি করে। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যার জেরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, গৃহবধূর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শংকর নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে গৃহবধূ তৃপ্তি মারা যায়। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক রয়েছে।’