অভয়নগর সংবাদদাতা
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও কাক্সিক্ষত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার বাসিন্দারা। ১৯৯৬ সালে ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত ও ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হওয়া এই পৌরসভাটির নেই নিজস্ব কোন শিশু পার্ক, খেলার মাঠসহ পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যাবস্থা।
একই সাথে নদী, সড়ক পথ ও রেলপথ ব্যবহারের সুবিধা থাকায় এখানে স্থাপিত হয়েছে অনেক হালকা ও ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। মোংলা বন্দর থেকে নদী পথে যাতায়াত সহজ হওয়াতে আমদানি ও রফতানির জন্য নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ঘাট, গোডাউন। বিধায় আবাসিক এলাকার সড়কে চলাচল করে ভারি যানবাহন। এতে করে অল্পদিনেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ সড়কই জরাজীর্ণ। পৌর কতৃপক্ষের উদাসীনতা, মেরামতের অভাবে অনেক সড়কের অবস্থা গ্রামের কাচা রাস্তার মতো। সাথে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য অল্প বৃষ্টিতেই অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডের সড়কগুলোর। স্থানীয়দের অভিযোগ নিম্নমানসম্পন্ন এসব সড়ক তৈরির পরে মেরামত না করাতে পিচের সোলিং উঠে মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। জনবহুল এলাকার প্রয়োজনীয় অনেক রাস্তা তৈরিই করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার সহযোগিতা না পেয়ে ইতিমধ্যে ১ নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তা এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে ও সেচ্ছাশ্রমে চলাচলের উপযোগী করেছেন।
পৌরসভার অধিকাংশ সড়কে নেই ল্যাম্পপোস্ট। যেগুলো আছে সেগুলোও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অচল প্রায়। বেঙ্গল রেলক্রসিং থেকে ডিএন মোড় পর্যন্ত পৌরসভার একমাত্র ফুটপাত তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অধিকাংশ জায়গা এখন অবৈধ দখলদারের কবলে। ফুটপাতের অনেক অংশ পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। ভৈরব নদের পাড় দিয়ে তৈরি পৌরসভার একমাত্র ওয়াক ওয়েটি ঘাট মালিক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নেশাখোরদের দখলে।
নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আমরা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছি এবং সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। জনগুরুত্ব বিবেচনায় নিশ্চিতভাবে বাকি কাজগুলোও সম্পন্ন করা হবে। অবৈধ দখলখারদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত অভিযান পরিচালিত হবে ।