শরণখোলা সংবাদদাতা
সুন্দরবনে নৌকাডুবির তিন দিন পর নিখোঁজ পর্যটক আমেরিকা প্রবাসী রিয়ানা আবজালের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। সোমবার সকালে মংলা সাইলো জেটি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রিয়ানা ঢাকার উত্তরা এলাকার আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। তাদের পৈতৃক বাড়ি বরিশালে। তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট ছিলেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
রিয়ানার বাবা আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সপরিবারে সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছিলাম। একটি বড় জাহাজের ঢেউয়ের আঘাতে আমাদের ছোট নৌকাটি উল্টে আমরা ১৩ জনই নদীতে পড়ে যাই। আমাদের মধ্যে ১২ জন ফিরে আসতে পারলেও রিয়ানাকে পাওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গত ৮ নভেম্বর ১৪ জন পর্যটকের একটি দল একটি ছোট কাঠের নৌকায় করে সুন্দরবনের করমজল ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারে ভ্রমণে বের হয়। দুপুর ১টার দিকে নৌকাটি পশুর নদীর ঢাংমারি খাল এলাকায় পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। এ সময় আশপাশের নৌকার সহায়তায় ১৩ জন পর্যটককে উদ্ধার করা গেলেও একজন নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে কোস্টগার্ড মংলা ঘাঁটি ও হারবাড়িয়া স্টেশন থেকে দুটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুসন্ধান শুরু করে
টানা তিন দিনের অনুসন্ধানের পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে মংলা সাইলো জেটি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি চাঁদপাই নৌ পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।

