বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সারাদেশের মতো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী জেলা যশোরও। শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে জেলা শহরবাসী। কোথাও হতাহতের কোন খবর না পাওয়া গেলেও ঘটনার অনেকেই বাসা থেকে বাইরে নেমে আসার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ নিজ নিজ ঘরে দোয়া-দরুদ পড়া শুরু করেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর কেন্দ্রস্থল ঘোড়াশালের নিকটবর্তী এলাকা।
সকালে ভূমিকম্প হওয়ার পর থেকে যশোরবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেন। দিনভর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা ইস্যু ছিলো বাংলাদেশের ভূমিকম্প। ভূমিকম্প অনুভূতির সময়ে কে কোথায় ছিলেন এটাও খোঁজ খবর নিয়েছেন। যশোরে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও রাজধানী ঢাকাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যশোরে মানুষের নিকট স্বজনরো কেমন আছে সেটা ফোন করেও অনেকেই খোঁজ খবর নিয়েছেন।
যশোরের স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিক রাজেক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি আমার বাসায় ছিলাম, হঠাৎ করেই ভবনের দেয়ালসহ মেঝে কাঁপতে থাকে। আমরা দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে আসি। আমার জীবনে এ রকম ভূমিকম্প দেখিনি।’ এনজিও কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাসার ভবনটা এত জোরে কেঁপে উঠলো যে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। আমার জীবনে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি। মুজিব সড়কের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো রাস্তা দিয়ে ভারি গাড়ি যাচ্ছে আর তাই কেঁপে উঠছে। কিন্তু এত বেশি কম্পন এর আগে দেখিনি। ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশের ভূমিকম্পের ভিডিও দেখে আতংকিত হয়েছি। এর চেয়ে বড় ভূমিকম্প ঘটলে বাংলাদেশের কি হবে সেটা ভাবছি।’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর যশোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার উৎপত্তিস্থল ছিলো যশোরের মণিরামপুর। এবং মাত্র ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৫।

