বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে তথ্য পাচার ও অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার অভিযোগে ৩১৭টি ভারতীয় সিমকার্ডসহ বাবুল হোসেন (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার মসজিদ গলির একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে জেলা ডিবির সদস্যরা। আটকের পরে পুলিশ এদিন বিকেলে বাবুলকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটক বাবুল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নোয়ালি গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খন্দকার মিলনের বাড়িতে ভাড়া থেকে কতিপয় ব্যক্তি সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে ভারতসহ বহির্বিশ্বে অর্থের বিনিময়ে টেলিযোগাযোগ করে থাকে।
এরপর ডিবি পুলিশের একটি টিম বাড়িতে অভিযান চালান। পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে অজ্ঞাত দুই/তিন জন পালিয়ে যায়।
পরে ওই ঘর থেকে বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় ওই ঘর তল্লাশি করে ডেল কোম্পানির একটি ল্যাপটপ, ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির ৩১৭টি সিমকার্ড (যার মধ্যে ভিআই কোম্পানির ৪৭টি এবং বিএসএনএল কোম্পানির ২৭০টি), ভিওআইপির কাজে ব্যবহৃত একটি কালো রঙের মেশিন, দুটি বাংলাদেশি মোবাইল কোম্পানির সিমকার্ড এবং একটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে। যশোর ডিবির অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভুইয়া বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন তথ্য ভারতসহ বহির্বিশ্বে অবৈধভাবে ভিওআইপির মাধ্যমে পাচার করে আসছিলেন। ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ভারত থেকে অবৈধপথে তিনি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল সিমকার্ড দেশে এনে ব্যবসা করছিলেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।
জব্দকৃত সিমগুলো ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। আদালতে তার কাছ থেকে আরোও তথ্য জানান জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’

