বাংলার ভোর প্রতিবেদক
তৃতীয় বছরে পা দেওয়ায় অগণিত পাঠক শুভানুধ্যায়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছে যশোর থেকে বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক বাংলার ভোর। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রেস ক্লাব যশোরের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় ‘প্রীতি সম্মেলন ও দোয়া মাহফিল’। এতে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় আগত পাঠক শুভানুধ্যায়ীরা ‘বাংলার ভোরের’ অগ্রযাত্রা তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সাংবাদিকতার যে মূল ভিত্তি সত্য বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
বাংলার ভোরের তৃতীয় বর্ষে পর্দাপণ ও দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে শুভক্ষণের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক হুসেইন শওকত।
এসময় তিনি বাংলার ভোরের প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীনসহ অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে হুসেইন শওকত বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে পাঠকের মন জয় করেছে দৈনিক বাংলার ভোর। সমাজের অসঙ্গতির পাশাপাশি সম্ভাবনার কথাও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরছে বাংলার ভোর। সমাজের আরোও যত অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলো আরোও বেশি বেশি তুলে ধরবে। বাংলার ভোরের পথচলা আরও মসৃণ হোক। শত বছর ধরে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকুক বাংলার ভোর। দেশপ্রেম, দেশের সার্বভৌমত্ব ও চেতনতার প্রশ্নে আপসহীন থাকবে বাংলার ভোর। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলবে তারা। ’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন বাংলার ভোরের প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ আবুল কালাম। এসময় অনুষ্ঠানে আগত পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানান। সত্য প্রকাশে অবিচল থাকার প্রত্যয় জানিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুটি বছর একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা চালিয়ে যাওয়া বড় একটি যুদ্ধ জয়ের মতই। শুরু থেকেই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকা পত্রিকাটির পথচলা মসৃণ ছিল না। নানা জটিলতা অবহেলা সহ্য করেও থেমে থাকিনি আমরা। সামনে যত বাঁধা আসুক না কেন; সকল বাঁধা কাটিয়ে সত্য প্রকাশ করে যাবে বাংলার ভোর। আমাদের দায়বদ্ধতা পত্রিকাটির পাঠকের প্রতি। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সত্য প্রকাশে অবিচল থাকবে বাংলার ভোর। এসময় তিনি পাঠকসহ সকলের দোয়া কামনা ও পাশে থাকার আহ্বান জানান।’
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যকালে দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক ও প্রকাশক মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা বলেন, ‘দুঃসময়ে সাহসের সঙ্গে বাংলার ভোর প্রকাশিত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে বাংলার ভোর। যার অন্যতম কারণ পত্রিকাটির সম্পাদক দীর্ঘদিন ধরে যশোরের বিভিন্ন পত্রিকায় কাজের অভিজ্ঞতার ফসল। পত্রিকাটি শুধু যশোরের নয়; একসময় খুলনা বিভাগের সমস্যা সম্ভবনার কথা বলবে। পত্রিকাটি গণমানুষের কথা বলুক, তার লেখনি প্রতিফলিত হোক।’
আরেক সম্পাদক দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন বলেন, ‘সংবাদপত্র সংকটকাল পার করছে। এর ব্যাখাটা শুধু সংবাদ সেবীরাই জানে। শত শত চ্যালেঞ্জ। শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবে বাংলার ভোর।
গণ মানুষের কথা বলবে এমনটাই প্রত্যাশা বাংলার ভোরের কাছে।’ দৈনিক সমাজের কথার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘ সংবাদপত্র মূখ্য উদ্দেশ্য মানুষের বস্তুনিষ্ঠ কণ্ঠস্বর; সেটি বাংলার ভোর কাজ করছে।আপসহীন এবং সত্যনিষ্ঠার চর্চা করে বাংলার ভোর; এ কারণে খুব অল্প সময়ে পাঠকের অগাধ আস্থা অর্জন করেছে। নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিকশিত হবে, কিন্তু তার বার্তাটি স্থির থাকবে; সেটি হলো মানুষের জয়।’
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যশোর বার্তার সম্পাদক অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দীন, তাড়বাড়িয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহনাজ পারভীন, দৈনিক স্পন্দনের নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম লাবলু, দৈনিক রানারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কবিরুল আলম দিপু। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে পত্রিকাটির স্বপ্নদ্রষ্টা সম্পাদকের পিতা মরহুম সৈয়দ নজমুল হোসেনের আত্মার শান্তি কামনা ও পত্রিকাটির অগ্রযাত্রায় দোয়া করা হয়।
এদিকে, এদিন সকাল থেকে পত্রিকাটির বাণিজ্যিক কার্যালয় দপ্তর মুজিব সড়কস্থ কার্যালয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শুভানুধ্যায়ীদের আগমন। শুভেচ্ছা জানাতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যেমন আছেন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক; তেমনি আছেন সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠকেরা। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনও শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

