বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে চোরাই ইজিবাইক কেনাবেচা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক নারীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গণপিটুনির শিকার অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের হৃদয় হোসেন রিপন। মামলার একমাত্র আসামি আটক জিন্নাত আলী মণ্ডলগাতী গ্রামের বাসিন্দা এবং আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত।
মামলায় হৃদয় উল্লেখ করেন, তিনি ইজিবাইক চালক। গত ১৯ নভেম্বর সকালে জিন্নাত আলী তার ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে শংকরপুর বাস টার্মিনালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় জিন্নাত পানির সঙ্গে কৌশলে চেতনানাশক খাইয়ে দেন হৃদয়কে।
পরে ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে যান জিন্নাত। স্থানীয়রা হৃদয়কে উদ্ধার করেন। খোঁজখবর নিয়ে জিন্নাতের সন্ধান পান হৃদয়। একপর্যায়ে জিন্নাত স্বীকার করেন ৯০ হাজার টাকায় ইজিবাইকটি নড়াইলে বিক্রি করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে পুলেরহাট বাজারে জিন্নাতকে দেখে হৃদয়ের বাবা পাওনা টাকা চাইলে জিন্নাত বলেন তিনি টাকা দেবেন না। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হৃদয়ের বাবা লিটন হোসেনকে মারধর করেন জিন্নাত। এ সময় তার মা সোনিয়া বাধা দিতে এলে জিন্নাত তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা জিন্নাতকে ধরে গণপিটুনি দেন। হৃদয়ের বাবা ও মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে গণপিটুনির শিকার জিন্নাতও হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে হৃদয় মামলা করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে জিন্নাতকে আটক করে। বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

