চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক শহিদুল ইসলামের মরদেহ পাঁচ দিন পার হলেও এখনো দেশে ফেরত আসেনি। এতে শোকাহত পরিবারে চলছে গভীর উৎকণ্ঠা।
নিহত শহিদুল ইসলাম (৩০) গয়েশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার নস্কর আলীর ছেলে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন শহিদুলের স্ত্রী নাসরিন আক্তার। পরিবারের সদস্যরা এখনও মরদেহের অপেক্ষায় দিন গণনা করছেন।
পরিবারের ভাষ্যমতে, গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে শহিদুল সীমান্তের ৭০ নম্বর পিলারের কাছে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে কাছ থেকে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে ভারতের নদীয়া জেলার বিএসএফ ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট সুজিত কুমারের বরাত দিয়ে ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, মাদক বহন করে ফেরার সময় দুই বাংলাদেশিকে থামতে বলা হলে তারা নাকি হাসুয়া নিয়ে বিএসএফের ওপর হামলা চালায়—এমন দাবি করেছে বিএসএফ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন আহত হন বলে প্রথমে জানানো হলেও পরে রাত ৮টার দিকে জানানো হয় শহিদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।
ঘটনার পর শহিদুলের মরদেহ কৃষ্ণগঞ্জ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। ৩০ নভেম্বর কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি হাসপাতালের হিমঘরে সংরক্ষণ করা হয়।
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন,
“মরদেহ ফেরত আনার জন্য আমরা বিএসএফকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছি। তবে তারা জানিয়েছে—ভারতীয় পুলিশের ছাড়পত্র এখনো পাওয়া যায়নি। সেই অনুমতি ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর সম্ভব নয়।”
৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ভারতীয় পুলিশের ছাড়পত্র পেলেই মরদেহ দ্রুত দেশে আনা হবে।

