কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে কোম্পানির ৭১ লাখ টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত ঘটনার সংবাদ প্রকাশের পর সেটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্ত আব্দুর রহিম।
সোমবার সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, আমি এবং আমার কোম্পানির সুনাম নষ্ট করতেই একটি মহল এমন চক্রান্তে লিপ্ত আছেন।
তিনি বলেন, আমি ইকোটেক এনার্জি লিমিটেডের কর্মচারী নয় বরং পার্টনার ছিলাম। ৩ জন পার্টনারের অন্য দুজন হলেন হাফিজুর রহমান ও আসাদুজ্জামান।
একপর্যায়ে হাফিজুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে কৌশলে বড় ধরনের জাল-জালিয়াতের আশ্রয় গ্রহণ করে গোপনে প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ও ব্যাংক হিসাব নিজের নামে করে নেন।
এবং কোম্পানির হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের চেষ্টা করেন।
যার প্রেক্ষিতে কোম্পানির মালিকানা নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। পরে ২০২৪ সালে শেখ সেলিমের ভয় দেখিয়ে তিনি আমাকে ও আসাদুজ্জামানকে কোম্পানির শেয়ার অংশ ফেরত না দিয়েই জোরপূর্বক প্রতিষ্ঠানটি নিজ দখলে নেন। এতে করে আমার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এতেই তিনি ক্ষ্যান্ত হোননি বরং আমাকে চাপে রাখতে এবং আমি যাতে ভবিষ্যতে ওই কোম্পানির কোন দাবি না করতে পারি সেকারণে ওই সময় আমার কাছে ১৯ লাখ টাকা দাবি করে জোরপূর্বক ৩টি চেক নিয়ে নেন।
আমি বাধ্য হয়ে ওই ৩টি চেকের মধ্যে ২টি চেকের টাকা পরিশোধ করেছি এবং ১টি চেকে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩শত টাকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।
আমি তাদের মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আমার বিরুদ্ধে সকল প্রকার মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান করছি।
আব্দুর রহিমের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে ইকোটেক এনার্জি লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান তার কাছে আমরা টাকা পাবো।
টাকা না দেয়ায় আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

