নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছা, কেশবপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির এখনো এসে পৌঁছেনি। জেলার ৮ উপজেলায় প্রাথমিকে মোট বইয়ের চাহিদা ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫শ’ ৫১টি। ইতিমধ্যে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫টি বই এসে গেছে। অবশিষ্ট ১১ ভাগ অর্থাৎ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪শ’ ৫৬টি বই এখনো পায়নি যশোর জেলা শিক্ষা অফিস। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, চলতি মাসের মধ্যে বাকি সব বই চলে আসবে। বছরের শুরুতে শিশু শিক্ষার্থীরা হাতে বই পেয়ে যাবে।
নতুন শিক্ষাবর্ষের আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও যশোরের তিন উপজেলায় ২য় ও ৩য় শ্রেণির একটি বইও পৌঁছেনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলার ৮ উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১টি। এর মধ্যে এসেছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫টি। বই প্রাপ্তির শতকরা হার ৮৯ ভাগ। বাকী এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৬টি বই এখনো পায়নি যশোর জেলা শিক্ষা অফিস। কোন বই আসেনি চৌগাছা, কেশবপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির। জেলায় প্রথম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার ৮২২টি, দ্বিতীয় শ্রেণির চাহিদা রয়েছে এক ৭৬ হাজার ৮৮৯টি, তৃতীয় শ্রেণির ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৬টি, চতুর্থ শ্রেণির ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯২৮টি এবং ৫ম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ১৩৬টি।
এর মধ্যে ৫টি উপজেলা যশোর সদর, বাঘারপাড়া, মণিরামপুর, শার্শা ও অভয়নগরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ নতুন বই এসেছে।
শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছেন, বই না পাওয়া চৌগাছা উপজেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য বইয়ের চাহিদা ৪৪ হাজার ২শ ৩৫টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় চাহিদা ৫৭ হাজার ৩২৬টি এবং কেশবপুর উপজেলায় চাহিদা ৪৪ হাজার ৪৫টি। ইংরেজি ভার্সনের বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ হাজার ৪৩টি। এখন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ পরীক্ষার ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর কয়েকদিন পার হলেই ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস শুরু হবে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি ঘটা করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের আয়োজন এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়। কিন্তু দ্রুত দুই শ্রেণির বই না পৌঁছালে কেবলমাত্র প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনে নতুন বই থেকে বঞ্চিত হবে। দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বই মুদ্রণ ও প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, আমাদের চাহিদার প্রায় সব বই এসে গেছে। তিনটি উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত বই এখনো আমরা পায়নি। চলতি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট বই চলে আসবে। এবং আমরা বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেব।
শিরোনাম:
- কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
- ‘বিক্ষোভ আর কালো পতাকায়’ রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস বরণ!
- ‘অজ্ঞাত আসামি’র মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবি
- প্রথমবারের মত ঈদগাহ ময়দানে বক্তব্য রাখবেন জামায়াত প্রধান
- সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
- যশোরে মধুমেলার নিলাম শুরুর আগে বিএনপির দু’গ্রুপের হাতাহাতি
- আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কম্বল বিতরণ
- দেয়াড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কম্বল বিতরণ