রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মনিরামপুর উপজেলা রাজগঞ্জ নেংগুড়াহাটের পার্শ্ববর্তী বাগবাড়িয়া মোড়ে উঠতে শুরু করেছে নানান জাতের শীতকালীন সবজি। সাপ্তাহিক দুইদিন রবি ও বুধবার হায়াতপুর আশ্রায়প্রকল্পে বাগবাড়িয়া পুকুর মোড়ে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়িরা এসে এখান থেকে সবজি কিনে নিয়েন।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা আগামী শীতকালীন সবজি কেনাবেচা করছেন। রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট পাইকারী সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভোর থেকে শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত আগাম জাতের শাকসবজি নিয়ে বাজারে বিক্রির জন্য আসছেন। কেউ এনেছেন বেগুন, শিম, লাউ, বরবটি, মেটেআলু, লাল শাক, পালংশাক, মুলা, টমেটো, ফুলকপি, বাধাঁকপিসহ শীতকালীন আগাম নানা শাক সবজি। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে শাকসবজি কেনার জন্য, বাগবাড়িয়া পুকুর মোড়ে হাজির হয়েছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়িরা। এখানকার সবজি গুণে মানে ভালো হওয়ায় সারাদেশে এই সবজির চাহিদা রয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরুকরে এই সবজির বাজার চলে ১০টা পর্যন্ত। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ক্রেতারা বিষমুক্ত সবজি কিনে তা ভ্যান-নসিমন-পিকআপ বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এখানকার আড়ৎগুলোতে ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০টাকা, মূলা ১০টাকা, পেঁপে ২০টাকা, বাঁধাকপির কেজি ৩০টাকা, প্রতি পিস লাউ ২৫-৩০টাকা। ধনিয়া পাতা কেজি প্রতি ৮০-১০০টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ৭০টাকা, গাজর ৮০টাকা, বরবটি ৩০টাকা, ঢেঁড়স ৩০টাকা, মিষ্টিকদু ৩০-৪০টাকা, লাল শাক ১০টাকা আটি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কিছুটা কমেছে বলেই জানালেন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়িরা।
মনিরামপুর উপজেলা চালুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী ফারহানা ফেরদৌস ও হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর মোট ৫হাজার পাঁচশত ২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষ হয়েছে। যা থেকে ফলন হবে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন।
বাজার ঘুরে কথা হয় নেংগুড়াবাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইসলাম ও গফফারের সাথে। তারা বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে ওঠার কারণে ক্রেতারা নতুন সবজি পেয়ে সাচ্ছন্দের সাথে নতুন সবজি কিনছে। তাই চাহিদাও রয়েছে বেশ, সবজির দামও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। হায়াতপুর গ্রামের মছি বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। আগাম চাষ করা সবজিগুলো বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছি তাই বেশ ভালো লাগছে। একই ভাবে কথা বলেন, রুহুল কুদ্দুস তিনি দেড়বিঘা জমিতে শিম ও বেগুন চাষ করেছেন। কথা হয় শাহাপুর গ্রামের ফুলকপি চাষি ইসমাইল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, একবিঘা ৫ কাঠা জমিতে ১২হাজার চারা রোপণ করেছি। দুই সপ্তাহ আগে থেকে বিক্রিও শুরু করছি। চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৫৫হাজার টাকা। তিনি কমপক্ষে এক লাখ ২০ হাজার টাকার মত ফুলকপি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। একইভাবে কৃষক কামরুল হোসেন বলেন, তিনি একবিঘা জমিতে। ফুলকপি চাষ করেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনও হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার অনেক বেশি দামে (১৬০০ টাকা মণ দরে) কপি বিক্রি করতে পেরে। সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক পরামর্শে এই এলাকার কৃষক আগাম জাতের শীতকালীন সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছেন। তিনি আরও বলেন সবজি ক্ষেতে যাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করে ফলন বৃদ্ধি করা যায় স বিষয়েও সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
শিরোনাম:
- কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু
- ‘বিক্ষোভ আর কালো পতাকায়’ রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস বরণ!
- ‘অজ্ঞাত আসামি’র মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবি
- প্রথমবারের মত ঈদগাহ ময়দানে বক্তব্য রাখবেন জামায়াত প্রধান
- সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
- যশোরে মধুমেলার নিলাম শুরুর আগে বিএনপির দু’গ্রুপের হাতাহাতি
- আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কম্বল বিতরণ
- দেয়াড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কম্বল বিতরণ