রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজারে এক মুদি ব্যবসায়ীকে দোকানে ঢুকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। মারপিটের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এবং রাজগঞ্জ বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মারপিটের শিকার ব্যক্তির নাম হাসুতোষ পাল রাজগঞ্জ বাজারের মুদি ও ধান চালের ব্যবসায়ী।
রাজগঞ্জ বাজারে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের জায়গায় বস্তা রাখার অপরাধে আব্দুল লতিফ ব্যবসায়ী হাসুতোষ পালকে মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ। মারপিটের ঘটনা হাসুতোষ পালের দোকানে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ঘটনাটি চলতি মাসের ২৪ ডিসেম্বর সকালের হলেও বৃহস্পতিবার থেকে ফেসবুকে ভিডিওটি ঘুরপাক খাচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে চলতি মাসের ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে হাসুতোষ পালের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে গালমন্দ করছেন অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ। চিৎকার শুনে দোকান থেকে বেরিয়ে হাসুতোষ এগিয়ে গেলে অধ্যক্ষ তাকে চড় থাপ্পড় মারা শুরু করেন। মারতে মারতে তিনি হাসুতোষকে দোকানের মধ্যে ঢুকেও কিলঘুষি মারতে থাকেন। ঘটনার ছয় দিন পার হলেও অধ্যক্ষর ভয়ে কোথাও অভিযোগ করতে পারেননি বুক্তবোগী
হাসুতোষ পাল গতকালসকালে বলেন, আমার দোকানের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। গত শনিবার দোকানে থাকা আধা বস্তা ধান আমি ভাস্কর্যের পাকার ওপর রেখে ভুল করে বাড়ি চলে যাই। রোববার সকালে দোকানে আসার পর আমাকে মারপিট শুরু করেন আব্দুল লতিফ। হাসুতোষ পাল বলেন, গেল বার নৌকা পাশ করার পর সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্যর হাত ধরে রাজগঞ্জ বাজার কমিটির সেক্রেটারি হয় আব্দুল লতিফ। আব্দুল লতিফ ক্ষমতার জোরে বাজারে যাকে তাকে মারধর করে। কয়দিন আগে আমার পাশের এক মুরগি দোকানদারকে মারতে চড়াও হন তিনি। হাসুতোষ বলেন, আমি কোথাও অভিযোগ করিনি। যারা ঘটনা জেনেছেন তারা বলেছেন সংসদ ভোটের পরে বিষয়টি দেখবেন।
জানতে চাইল অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মুদি দোকানি হাসুতোষ পালকে মারপিটের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আগেও হাসুতোষ দোকানের বস্তা এনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের জায়গায় রেখেছে। তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। গেল ১৬ ডিসেম্বর পুলিশ এসে বস্তা সরিয়ে ভাস্কর্যের জায়গা পরিস্কার করেছে। এরপরও একই কাজ করায় হাসুতোষকে দুই থেকে তিন চড় মেরেছি। রাজগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি চালুয়াহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, ঘটনা শুনে আমি দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছি। আব্দুল লতিফ ঠিক কাজ করেননি। সংসদ নির্বাচনের পর বিষয়টি নিয়ে বসব। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বানী ইসরাইল বলেন, ঘটনা শুনেছি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেননি। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ভিডিও দেখিনি। ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিরোনাম:
- গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জেকে বসেছে শীত
- পুনশ্চ’র ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- শীতে বাড়ছে রোগীর চাপ নাজুক চিকিৎসা সেবা
- মাগুরায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- যশোরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষায় সভা
- সাজা শেষে দেশে ফিরলেন ২ ভারতীয়
- শালিখার চিকিৎসা নিতে আসা অজ্ঞাত বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
- বিশ্ব ইজতেমায় হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ