ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ শহরে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের ঘোষপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বরুণ ঘোষ (৪০) ওই এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যার দিকে শহরের ঘোষপাড়া মোড়ে অবস্থান করেন বরুণ ঘোষ। এ সময় আগ থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জের অথবা নির্বাচনে নৌকার সমর্থনের কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে হত্যার সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের দাবি জানান স্থানীয়রা।
হাসপাতালে বরুণের ভাবী নীলিমা ঘোষ বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই বরুণ বলত বাড়ির বাইরে যাব না। যদি আমার কিছু হয়ে যায়। আমরাও বলতাম তুই বাসায় থাক। কেবল ভোট শেষ হলো। কিছুদিন পরে বাইরে যাবি। কিন্তু ও কথা না শুনেই বাড়ি থেকে বের হলো, আর হত্যার শিকার হলো। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কনক কান্তি দাস বলেন, বরুণ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে সে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিল, বিভিন্ন সভায় গিয়েছিল। এ কারণেও হতে পারে, আবার অন্য কোন কারণও থাকতে পারে।
তবে, সঠিক কারণ আমরা জানি না। পুলিশ প্রশাসন আছে তারা সঠিক কারণ বের করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনবে এটাই দাবি তাদের প্রতি।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, ‘এখনই ঘটনার সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে, আমরা কাজ করছি। অতিদ্রুতই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।’ এটি নির্বাচন কেন্দ্রিক ঘটনা কি না তা তিনি জানাননি।