বিবি প্রতিবেদক
যশোর করোনারি কেয়ার ইউনিটে দুই মাসে আগে আইসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিট উদ্বোধন করা হলেও সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি। চতুর্থতলায় থাকা এ ইউনিটটিতে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হলেও লিফট সুবিধা না থাকায় সেবা কার্যক্রম চালু করেননি সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, করোনারি কেয়ার ইউনিটের তিনতলা পর্যন্ত লিফটের সুবিধা রয়েছে। আর আইসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিট চতুর্থতলায়। ফলে শুধুমাত্র লিফটের অভাবে চতুর্থ তলায় নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি তিনি অবগত করেছেন। দ্রুত এর সমাধান হবে বলে আশাবাদী তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের চতুর্থ তলায় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর আইসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিটের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু উদ্বোধনের দুইমাস মাস পারও আইসিইউ ইউনিটটের কার্যক্রম এখনো চালু করতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে চিকিৎসার উন্নত সব যন্ত্রপাতি থাকার পরও ইউনিটটি গুরুতর রোগীদের কোনো কাজে লাগছে না।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানায়, রোগীর চাপের কারণে প্রশাসনিক ভবনের সাথে থাকা পাঁচ বেডের আইসিইউ পরিচালনা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে করোনারি কেয়ার ইউনিটের চতুর্থ তলায় নতুন করে ১০ শয্যার আইসিইউ ও আইসোলেশন ইউনিটটির সকল কার্যক্রম প্রস্তুত করা হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর ইউনিটটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চতুর্থতলা পর্যন্ত লিফটের সুবিধা না থাকায় নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। নতুন এই ওয়ার্ডে রয়েছে ১০ শয্যার আইসিইউ, ২০ শয্যার আইসোলেশন, চিকিৎসক-নার্সদের দায়িত্ব পালনের আলাদা কক্ষ, অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও ভেন্টিলেটরসহ বিভিন্ন উপকরণ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লিফট চালু না করায় ইউনিটটির চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গুরুতর রোগীরা। অনেকে ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার জন্য খুলনা অথবা ঢাকায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকে লাশ হয়ে ফিরছেন বলেও জানান রোগীর স্বজনরা।
কথা হয় শহরের বেজপাড়ার চোপদারপাড়ার বাসিন্দা স্বজল মৃধার সাথে। তিনি জানান, তার নানী গত ১৩ তারিখে শ^াসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে বলেন। হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনে ৫০/৬০ স্থলে তার প্রয়োজন ৮০ মাত্রার উপরে। সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা আইসিইউ। কিন্তু প্রশাসনিক ভবনের সাথে থাকা ৫টি আইসিইউ বেড খালি না থাকায় বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকালে তারা খুলনায় রেফার করে নিয়ে যায়। স্বজল ছাড়াও এমন কথা জানান, সদরের ডাকাতিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেন ও চৌগাছার জগদেশপুরের বিষু কর্মকারসহ আরো কয়েকজন। তারা বলেন, শুনেছি চিকিৎসার উন্নত সব যন্ত্রপাতিসহ ১০ বেডের আইসিইউ বেডের উদ্বোধন হয়েছে। তবে তার কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। তাই আইসিইউ সাপোর্ট নিতে অন্যত্র নিতে হচ্ছে রোগীকে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ প্রতিম চক্রবর্ত্তী জানান, নতুন ইউনিটে মুমূর্ষু রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ভেনটিলেটর মেশিন, অটোমেটিক সিরিঞ্জ পাম্প মেশিন ও কার্ডিয়াক মনিটর স্থাপন করা হয়েছে। এক কথায় আধুনিক মানের আইসিইউ প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি জানান, করোনারি কেয়ার ইউনিটের ৩ তলা পর্যন্ত লিফটের সুবিধা রয়েছে। ফলে শুধুমাত্র লিফটের অভাবে চতুর্থ তলায় নতুন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এর সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস