বিবি প্রতিবেদক
চৌগাছার আলোচিত হায়দার আলীকে আটক রেখে অচেতন করে তার টিপসই নিয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। গত বুধবার নিহত হায়দার আলীর স্ত্রী যশোরের উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা লতিফা হায়দার ১০ জনের নামে মামলাটি করেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিআইডি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, চৌগাছা উপজেলার মাকাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, বাদে খানপুর গ্রামের রাজিব হোসেন, পুড়াপাড়ার রোকনুজ্জামান, রোকনুজ্জামানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, হাসিবুল ইসলাম, বাদে খানপুর গ্রামের স্ত্রী হামিদা বেগম, তিন ছেলে মাসুম হোসেন ও মজনু মিয়া, একই এলাকার সাহিদা বেগম।
লতিফা হায়দার মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী হায়দার আলী এক শিক্ষিত এবং সচেতন লোক ছিলেন। বিবাদীদের সাথে তাদের পূর্ব থেকে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে বিবাদীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন লতিফা হায়দার। সে কারণে তারা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন। গত বছরের ১ অক্টোবর তার স্বামী অসুস্থ হলে জোর পূর্বক বিবাদীরা নিয়ে তাকে যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে হায়দার আলীর অজান্তে তার হাত দিয়ে ফাঁকা কিছু স্ট্যাম্প বা কাগজে টিপসই করিয়ে নেন আসামিরা। আর সেখানেই আসামিদের নির্যাতনে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় হায়দার আলী মারা যান। এরপরে তাদের স্বাক্ষর করা কাগজে জালজালিয়াতির মাধ্যমে লতিফা হায়দারকে তালাক দেয়া এবং বিভিন্ন ধরনের দলিল সৃষ্টি করেছে। সে কারণে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাদীর স্বামী হত্যাসহ আরো কয়েকটি মামলা করেছেন আসামিদের বিরুদ্ধে।
শিরোনাম:
- যশোরে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস : ‘গভীর ঘুমে’ স্বাস্থ্য বিভাগ
- জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দরকার নির্বাচিত সরকার : নার্গিস বেগম
- জামায়াতের উদ্যোগে যশোরে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ
- অস্ত্র মামলায় সন্ত্রাসী প্রান্তের ১৭ বছর কারাদণ্ড
- যশোরে এনটিভি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- ঝিকরগাছায় এসিড নিক্ষেপে শিশু ও নারীসহ আহত ৩
- এমএম কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে চৌগাছা ছাত্রদল