যশোর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার আওয়ামী লীগের ৬৩ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম। জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ গফুর গত শনিবার যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিলে রোববার মামলা রেকর্ড হয়। এছাড়া এ মামলায় আরও ১শ’ থেকে দেড়শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা সকলের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী। গত ৪ আগস্ট আসামিরা সকলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয়। এরপর তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যায় লালদিঘীর পাড়ের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে যান। এরপর তারা পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। এসময় অফিসে থাকা দুইটি ল্যাপটপ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এরপর তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয়। এরপর আসামিরা বোমা হামলা চালায়। তারা ৪০ মিনিট তান্ডব চালায়। এসময় অফিস সহকারী মনিরুল অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় আসামিরা আওয়ামী লীগের শাসন আমলে নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান বিপু, জেলা যুবলীগনেতা মঈন উদ্দিন মিঠু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান লাইফ, যশোর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, ছয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, সাত নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন, শাহাজাহান কবির শিপুল, বিরামপুরের হাদিউজ্জামান চিমা, বারান্দিপাড়ার জাকির হোসেন রাজিব, সনি। অন্য আসামিরা হলেন, ঘোপের সুজন, রাসেল, রেজওয়ান, হাশেম কাজী, বারান্দিপাড়ার কসাই মনির, নান্টু, তৌসিফুর রহমান রাসেল, আনোয়ার হোসেন সবুজ, নুরপুরের সাগর খাঁ, ছাতিয়ানতলার আব্দুল মান্নান মুন্না, আলমনগরের টিপু সুলতান, বিরামপুরের শাহাজান আলী কসাই, ছোট হৈবতপুরের সিদ্দিকুর রহমান, তালবাড়িয়ার আসমত আলী চাকলাদার, শালিয়াটের ইমলাক, আরএনরোডের কালো ফারুক, পল্টু, এজাজ আহম্মেদ, তালবাড়িয়ার ফিরোজ, আরএন রোডের টিপু সুলতান, উপশহরের সাগর, সুলতানপুরের ডেঞ্জার দিপু, তালবাড়িয়ার টিপু সুলতান, বারান্দিপাড়ার কামাল হোসেন, পুরাতন কসবার মামুন করিম, রায়পাড়ার রিয়াজ, টেরা চঞ্চল, বালিয়াডাঙ্গার রবিউল ইসলাম, বাদশা মিয়া, চাঁচড়া ভাতুরিয়ার শফিয়ার রহমান, আজাদ, তফসিডাঙ্গার মামুন, সিরাজুল, চাঁচড়ার সোহান, বারান্দিপাড়ার গোলাম কিররিয়া সানি, হামিদপুরের টেরা সুজন, অম্বিকা বসু লেনের টেরা মোস্তফা, রায়পাড়ার সাইফুল ইসলাম, বাপ্পী, ষষ্টিতলার সিকদার, সিটি কলেজপাড়ার নাহিদ, সাদ্দাম, গোলপাতা মসজিদ এলাকার জুয়েল, বিপ্লব, শংকরপুরের মানিক, মুরগী ফার্ম গেটের রাজু, আনসার ক্যাম্পের রোহান, শংকরপুর মহিলা মাদ্রাসা এলাকার শয়ন ও পুরাতন কসবার মাসুম করীম।
শিরোনাম:
- আজ যশোরে আসছেন পানি সচিব
- ঘুষ দিয়েও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন শ্রমিকদের
- কেশবপুর নিরাপদ সড়ক চাই’র দোয়া অনুষ্ঠিত
- ১৫ টাকার চালে ডিলারের ভাগ !
- রিয়াদ হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবিতে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন
- দুর্গাপূজা উপলক্ষে তালায় মতবিনিময়
- কেশবপুরে প্রবাসী সাবেক শিক্ষার্থীর উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ
- যশোরে খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত