কেশবপুর সংবাদদাতা:
যশোরের কেশবপুর বিভিন্ন সড়কের মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে পথচারীসহ স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্ষা মৌসুমে চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে পথচারীদের।
সোমবার দুপুরে কেশবপুর পৌর শহরের সরকারি হাসপাতাল এলাকাসাহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে সড়কের দুপাশে জেলা পরিষদের লাগানো বড় বড় বিভিন্ন বনজ বৃক্ষ মরে তা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলার কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীরের গায়ে কেশবপুর-রাজগঞ্জ সড়কে বেশ কয়েকটি বড় বড় গাছ শুকিয়ে গেছে। তাছাড়া ভেরচী টু কলাগাছি সড়ক, কেশবপুর টু রাজগঞ্জ সড়ক, সাগরদাঁড়ি টু কেশবপুর সড়ক, হাসানপুর টু বগা সড়ক, কেশবপুর টু পাঁজিয়া সড়ক, কেশবপুর টু ফতেপুর সড়কের পাশে লাগানো বড় বড় বিভিন্ন প্রকারের গাছ অনেক আগেই মারা গেছে। আর কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন।
মরা গাছের শুকনো ডাল-পালা ভেঙ্গে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের ওপরে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে অহরহ। ইতিমধ্যে কেশবপুর, পৌর শহরে সরকারি ২ খাদ্যগুদামের পাশে একটি মরা গাছের শুকনা ডাল ভেঙ্গে পড়ে ৫ জন পথচারী আহত হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ভেরচি গ্রামের কৃষক অশোক কুমার মন্ডল জানান, ভেরচি টু চুকনগর সড়কের ভেরচি বাজারের অদুরে অনেক গুলো মরা গাছ মৃত। শুক্রবার দুপুরে মরাগাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে এক পথচারী পল্লী চিকিৎসক মারাত্মক আহত হন।
এ বিষয়ে গৌরিঘোনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার ইউনিয়নের ভেরচী সড়কের দুপাশে প্রচুর গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বহুবার মৌখিক এমনকি লিখিতভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা তারা নেয়নি।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন, সড়কে অনেক মরা গাছ রয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কগুলো চিহৃত করা হয়েছে এবং জেলা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদও খুব দ্রুত মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমি অনেক আগেই জেনেছি। শুকনো ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের অনেক ঝুঁকি বেড়েছে। খুব শিঘ্রই মরা গাছ-গাছালি অপসারণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।