# মাছের ঘের থেকে কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজা ইউনুস গাজীর (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেলে আহত অবস্থায় তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল।
নিহত ইউনুস গাজী উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মশাসন গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, যৌথ মালিকানাধীন পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় চাচা রুহুল আমিনের লাঠির আঘাতে ভাতিজা ইউনুস আহত হন। পরে স্বজনরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের ভাই খোকন গাজী জানান, রুহুল আমিন, আদম আলী ও তার পিতা মোহাম্মদ আলীর যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। বিগত দিনে একই বিষয় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তার ভাই ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে চাচা রুহুল আমিন বাধা দেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে তার চাচা রুহুল আমিন ইউনুসের মাথা ও ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে (ইউনুস গাজী) মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। পরে সাতক্ষীরায় নেয়ার পথে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চাচাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন গাজীর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্তরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার একটি মাছের ঘের থেকে আব্দুর রহমান গাজী নামের এক ঘের কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, বিদ্যুৎস্পর্শে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুর রহমান গাজী (৪৮) সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক জানান, আব্দুর রহমান জনৈক অহিদের ঘেরের পাহারাদার ছিলেন। রাতে আব্দুর রহমান ঘেরে যান। সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে অহিদের ঘেরের পাশে আইউব আলীর ঘেরের ধানক্ষেত হতে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চোর প্রতিরোধে ধানক্ষেতসহ ঘেরের চারদিকে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রাখা হয়েছিল। বিদ্যুৎস্পর্শে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।