বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে ঘোষিত নতুন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সজীব হোসেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রেস ক্লাব যশোরের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সজীব হোসেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলেল সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে যশোর জেলার কমিটিতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক, জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব করে ১১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির ঘোষণার পরের দিন অথ্যাৎ ২৭ নভেম্বর নানা অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ। আর সর্বশেষ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করলেন সজীব হোসেন নামে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
লিখিত পদত্যাগপত্রে সজীব উল্লেখ করেন- গত ২৬ নভেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ছাত্রজনতা। আজকের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করছি। যা আমাদের জুলাই আগস্ট বিপ্লবের শহিদদের রক্তের সাথে বেইমানির সামিল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সজীব হোসেন বলেন, ‘যারা এই শহরে সরাসরি ছাত্রলীগের সভা সমাবেশে যোগদান করেছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত তাদেরকে এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। অথচ যারা এই বিপ্লবের সঙ্গে সরাসরি সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়েছে এমন অনেককেই কমিটিতে রাখা হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান জানান, কমিটিতে ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীকে স্থান দেয়া হয়েছে, এমন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তকে বহিস্কার করা হবে।’
গত ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে যশোরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান ও অপর ভাগের নেতৃত্বে ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। সদস্য সচিবের পদ পাওয়া জেসিনা মুর্শিদ প্রথমে মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে থাকলেও পরে রাশেদ খানের পক্ষে যুক্ত হন। কমিটিতে মাসুম বিল্লাহর পক্ষের অনেকে পদবঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আবার যারা পদ পেয়েছেন, তারা কাক্সিক্ষত পদ পাননি।