বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সহযোগী সংগঠন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) যশোর ও মুসলিম একাডেমির উদ্যোগে যৌথ অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে মুসলিম একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত এই সভায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় আগামী দুই মাসের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
মুসলিম একাডেমির প্রধান শিক্ষক পল্লব কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুসলিম একাডেমি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুনিরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সনাক যশোরের সভাপতি অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী, সদস্য ড. মুস্তাফিজুর রহমান, মুসলিম একাডেমি হাইস্কুল বিষয়ক এসিজি’র সমন্বয়ক আছাদুজ্জামান, এসিজি সহ-সমন্বয়ক আছিয়া আক্তারসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সভার শুরুতে সনাক সদস্য ড. মুস্তাফিজুর রহমান টিআইবি এবং সনাক যশোরের কার্যক্রমের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে, সনাক কোনো তদন্ত সংস্থা নয়, বরং স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করে থাকে।
সভায় পূর্ববর্তী অ্যাডভোকেসি সভার সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। প্রধান শিক্ষক পল্লব কান্তি ঘোষ তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী দুটি আবেদনের অগ্রগতি, টিফিন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্ভাবনা, স্কুল প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পানির কল স্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম সুবিধার উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
সনাক যশোরের সভাপতি অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী শিক্ষক-অভিভাবক এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত নই। এটি একটি অংশগ্রহণমূলক শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে অভিভাবকরা অত্যন্ত সচেতন এবং তাদের সাথে বিদ্যালয়ের নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন অতীব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সভায় বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, লাইব্রেরির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষকদের বাড়ি পরিদর্শনের মতো বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুনিরুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন, আমি একজন ট্রাস্টি মাত্র। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। আমরা এমন ব্যবস্থা করবো যেন আগামীতে টিআইবির কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন না হয়।
সভা শেষে মুসলিম একাডেমির শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি দুই মাস মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এই পরিকল্পনার আওতায় শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুবিধা, পাঠদানের পরিবেশ এবং সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই সভা সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে একটি গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়।