বাংলার ভোর প্রতিবেদক

ঝিকরগাছার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফল ব্যবসায়ী আকিকুল ইসলাম আকি হত্যা মামলায় পরকীয়া প্রেমিকা সুফিয়া বেগমকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে যশোরের ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজিব। অভিযুক্ত সুফিয়া বেগম যশোর শহরের মডেল মসজিদ এলাকার ভাড়া বাসিন্দা ও ঝিকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী, মণিরামপুরের স্মরণপুর গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের মেয়ে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আকিুল ইসলাম আকির বোনের বাড়ি মণিরামপুরের স্মরণপুর গ্রামে। বোনের বাড়ি যাতায়াতের সূত্র ধরে আকিকুলের সাথে সুফিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে সুফিয়ার বিয়ে হয়ে যায় ঝিরকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের সিরাজুলের সাথে। আকিকুল ইসলাম ফলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরপরও সুফিয়ার সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিল আকিকুলের। সুফিয়া যশোর শহরের রেলগেট মডেল মসজিদ এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে হোটেলে রান্নার কাজ করত।

আকিকুল তার বাসায় আসা-যাওয়া করত। ২০২৪ সালের ৯ জুলাই রাতে আকিকুল ফোন করে সুফিয়ার বাসায় আসে। বিয়ের কথাবার্তা নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সুফিয়া আকিকুলকে ধাক্কা দিলে ওয়ালে লেগে মেঝেতে পড়ে যায়। গুরুতর অসুস্থ আকিকুলের মুখে পানি দিলে কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এরপর তার পরিহিত জামা কাপড় খুলে সুফিয়া তার লাশ টেনে নিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে।

পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে আকিুলের লাশ উদ্ধার করে কোতয়ালি থানা পুলিশ। এ সংবাদ পেয়ে নিহত আকিকুলের স্বজনেরা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত আকিকুলের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামির দেয়া স্বীকারোক্তি ও সাক্ষীদের দেয়া জবানবন্দিতে সুফিয়া বেগমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ পাওয়ায় আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকতা। চার্জশিটে অভিযুক্ত সুফিয়া বেগমকে আটক দেখানো হয়েছে।

Share.
Exit mobile version