বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর উপশহর মার্কাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপি আঞ্চলিক ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে। তাবলীগ জামায়াতের দিল্লী নিজাম উদ্দীন মার্কাস মসজিদের আমির হযরত মাওলানা সাদ এর অনুসারীদের পক্ষ থেকে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও পরিবেশে ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে। মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের তিনটি জামাতসহ দেশের ১৯ টি জামাত এবারের ইজতেমায় অংশ নেয়। আখেরি মোনাজাতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। আখেরি মোনাজাতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব মুসলিম জাহানের কল্যাণ ও বিশ্ব জাহানের শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
তাবলীগ জামায়াতের সাথী উজির হোসেন জানান, রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপি আঞ্চলিক ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে। আখেরি মোনাজাতে হাজারো মুসল্লির ঢল নামে। গত শুত্রবার ফজরের নামাজ শেষে আম বয়নের পর মূলত ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু জুম্মার নামাজের সময়ে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। হাজারো মুসল্লি ইজতেমার মাঠে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। কঠোর নিরাপত্তার সাথে ইজতেমার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
ইজতিমার আয়োজক কমিটির প্রধান এসএম ইয়ামিনুর রহমান জানান, ইজতেমা উপলক্ষে প্রায় একশ’ মুসল্লি স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠ কাজ করছেন। মাঠের মধ্যে প্যান্ডেল তৈরি, খিত্তা, আবার কেউ বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করেছিলেন। আর মাঠের পূর্ব পাশে নলকূপ বসানো, টয়লেট স্থাপন করা হয়েছিল। দ্বিনের খেদমতের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন সাথীরা। আল্লাহর অশেষ নৈকট্য লাভের আশায় এভাবে প্রতিদিন শত শত মুসল্লি কাজ করেছেন। মার্কাজ মসজিদের মাঠসহ আশপাশের আরও দুটি মাঠে বিশাল আকৃতির প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। সুপেয় খাবার পানির জন্য মার্কাজ মসজিদের পূর্ব পাশে বসানো হয় ২০টি নলকূপ। বসানো হয় বেশ কয়েকটি গভীর নলকূপও। তার পাশেই মুসল্লিদের জন্য দুই শতাধিক টয়লেট বসানোর স্থাপন করা হয়েছিল। এবারের ইজতিমায় যশোরের আটটি উপজেলাসহ আশেপাশের জেলা থেকে থেকে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন।