বেনাপোল সংবাদদাতা
শার্শার পল্লীতে আধিপত্য বিস্তারে সরকারি টিসিবি কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে উপজেলার কন্দবপুর গ্রামে মুরগির খামার ও বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ভাংচুর লুটপাঠ করে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় কুপিয়ে দুইজনকে আহতও করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে দিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
১২ জানুযারি রাত সাড়ে ৯ টার সময় শার্শার কন্দবপুর গ্রামে দুবৃত্তরা এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন, কন্দবপুর গ্রামের আসাদুল ও তার ভাই তোতা, আক্তারুজ্জামান, শাহিন, কবির হোসেন, সম্রাট, আবুজার, আলম, মোহাম্মাদ ও হাবিবুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় গ্রামে সরকারি টিসিবি কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রবিউলের চায়ের দোকানে নিজামপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশাদুল ইসলামের সাথে তর্ক বিতর্ক এবং ধাক্কা ধাক্কি হয়। পরবর্তীতে আসাদুল তার চাচা সুজন মেম্বারের নির্দেশে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বোমা হামলা চালায় রবিউলের দোকানে। এছাড়া কামারুল ইসলাম ও ঝর্ণা বেগমের বাড়িতে হামলা করে বসতবাড়ি ভাংচুর ও মুরগির খামারে আগুন দেয়। এবং যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ২ লাখ নগদ টাকা, স্বর্নের ও রৌপ্যের অলংকার লুট করে নিয়ে যায়।
কন্দবপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন কামারুল ও আশাদুল দুইজনই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) করে। এরা তাদের ওয়ার্ড এর কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে আমার চায়ের দোকানে হাতাহাতি করে। আমি তাদের দুই গ্রুপকে ঠেকিয়ে দেই। এরপর আসাদুল তার লোকজন এনে আমার দোকান ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে কামারুল এর বাড়িতে যায়।
ভুুক্তভোগি ঝর্ণা বেগম বলেন আমার সাথে কোন দ্বন্দ নেই। তারা রাতে কামারুল এর বাড়িতে এসে হামলা চালানোর সময় আমি তাদের নিষেধ করি। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে আমার বিচালী গাদায় অগ্নিসংযোগ করে।
এ বিষয় নিজামপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কামরুল বলেন, আসাদুল ও তার ভাই তোতা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের কাজ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আধিপত্য বিস্তার করা। তারা আমার বাড়িতে আগুন দিয়ে এবং লুটপাঠ করে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। তারা পাশের বাড়ির স্বামী স্ত্রী আজগর ও রিনা ঘটনা দেখতে আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ বিষয় ১০ জনকে আসমি করে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে।
এ বিষয় আসাদুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আসাদুলের স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, আমার স্বামীকে তারা আগে মারধর করায় পরে সুজন মেম্বারের নির্দেশে ওই বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
শার্শা থানার ওসি আমির আব্বাস বলেন, এটি একটি বড় দুর্ঘটনা। আসামি আটকের ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।