সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা চৌধুরীর সঙ্গে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়েদা রিজওয়ানা চৌধুরী বলেন, আমডাঙা খাল সংস্কারসহ দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্ব- মতামত বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করতে হবে। তিনি ভবদহ এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলেও জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, উপদেষ্টামন্ডলী সদস্য তসলিম-উর-রহমান, ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রনজিত বাওয়ালি, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আবদুল হামিদ, সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল, সদস্য অনিল বিশ্বাস, শেখর চন্দ্র বিশ্বাস ও মহিরুদ্দিন বিশ্বাস।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বাতিল করা হয়েছে। জনগনের প্রবল আপত্তির মুখে পাম্প চালু করা হয়েছে। নদী হত্যা করে স্থায়ী লুটপাটের জন্য এটা করা হয়েছে।
সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার পানি ও উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাবৃন্দের সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এবারের জলাবদ্ধতা দীর্ঘ ও স্থায়ী রুপ নিতে যাচ্ছে। বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী এই চক্রের পক্ষে থেকেছেন এর জন্যে তিনিও দায়ী।
নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তোলেন আমডাঙা খালের সংস্কার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলো না কেন? পানি উন্নয়ন বোর্ড মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাম্প চালু করলো কেন? তারও বিচার হতে হবে। দ্রুত আমডাঙ্গা খাল প্রশস্থ করে সংস্কার ও পানি নিস্কাশনের জন্য দ্রুত ভবদহ স্লুইস গেট থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর ভেতরের উঁচু স্থান খনন করে পানি যাওয়ার ব্যবস্থা ও এখনই টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত টিআরএম চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহন, লুটেরা সিন্ডিকেটের বিচার ও আমডাঙ্গা খাল সংস্কারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হবে, ততক্ষণ আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ভয়াবহ জলবদ্ধতায় মানুষের ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা।