বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যশোরের দড়াটানায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ ও তাদের সমমনা শিক্ষার্থী ও জনতা এ অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। আওয়ামী লীগ ব্যান ব্যান’, ‘আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘শেখ হাসিনার ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ এটি দাবি নয় এটি তাদের সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে দেশে জুলুম-নিপীড়নের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করেন, বিগত ১৬ বছর ধরে সরকার ছাত্র-জনতার ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে।
৫ আগস্টের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের এ দেশে থাকার নৈতিক বৈধতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তারা। বক্তারা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, অবিলম্বে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। এর আগে একই দাবিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার পর যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে বক্তারা জানান, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ঘোষিত ‘যমুনা ঘেরাও’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে যশোরে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, যেখানে দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক শাসন থাকবে। আওয়ামী লীগকে হটিয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু আজ আবারও বিভিন্ন মহল আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এমনকি সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যেও এই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, এই বাংলার মাটিতে ছাত্রজনতা কখনোই আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না। আগে ছাত্রদের হত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের যাবতীয় পাপের বিচার হতে হবে। এর আগে এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো স্থান হবে না। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দলটির রাজনীতির অধিকার হারিয়েছে। আন্দোলন চলবে, রাজপথেই চলবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান, এনসিপির জেলা সংগঠক নুরুজ্জামান, ছাত্রনেতা শোয়েব হুসাইন, সাজিদ সারোয়ার, রিজভী, বিএম আকাশ, মারুফ সুকর্ন, ইউনুস আলী, এসকে আসিফ সোহান, রিফাত, সাকিব, সোহেল, সাদমান বিন কবির প্রমুখ।