কপিলমুনি, প্রতিনিধি

আবহামান কাল থেকে লালিত হয়ে আসছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢালি খেলা (লাঠি খেলা)। খেলাটি আজ কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে। হারনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে বাসন্তী পূজা উপলক্ষে এই ঢালী খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সলুয়া-কাজিমুছা বাসন্তী পূজা কমিটির আয়োজনে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধান অতিথি হিসেবে খেলার উদ্বোধন করেন, পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য মো. রশিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার, কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরদার বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, প্রকাশ চন্দ্র দাশ, বুলবুল আহমেদ, কপিলমুনি সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান, অনিতা রানী মন্ডল, সুকুমার ঢালী, প্রভাষক আ. ওহাব বাবলু, মৃনাল কান্তি বাছাড়, আমিনুল ইসলাম লিটু, ফরহাদ হোসেন, আজিজুল ইসলাম খান, আ. খালেক গাজী, শেফালী মন্ডল, বিশ্বজিত দাশ, সঞ্জয় হাজরা, লাভলু গোলদার, জিএম হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

খেলায় খরিয়াটি ও বান্দিকাটী দূটি দলের নতুন ও পূরাতন মিলে ১৬ জন খেলোয়ান অংশ নেন। খেলায় অতীতের মতো জৌলুস না থাকলেও কাসি ও ঢোলের বাজনা শুনে খেলা দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ঢালী প্রেমিক নারী-পুরুষ ছুটে আসেন।
দর্শক আব্দুর গফুর গাজী জানান, ঢালী খেলা আমার একটি প্রিয় খেলা। ছোট বেলায় এ গ্রামে ঢালী খেলার ব্যাপক প্রচলন ছিলো। গ্রামের মানুষ খেলা দেখে আনন্দ উপভোগ করতো।

খেলার উদ্যোক্তা বাসন্তী পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার হাজরা জানান, হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমি গ্রামে নতুন করে একটি ঢালী খেলার দল গঠন করেছি।

এ সংবাদ এলাকায় প্রচার হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে খেলের বায়না আসছে। আশা করি খেলাটি এলাকায় পুনরায় জীবিত হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version