বাংলার খেলা প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স ও স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশন যশোর শাখার আয়োজনে ক্লেমন টি-২০ একাডেমি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শনিবারের দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্লেমন আছিয়া ক্রিকেট ইন্সটিটিউট ও যশোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টার। শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ক্লেমন আছিয়া ১৬ রানে টাইগার ক্রিকেট একাডেমিকে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে যশোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টার ১১০ রানের বড় ব্যবধানে মণিরামপুর ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে।
টুর্নামেন্টের ‘ক’ গ্রুপ থেকে টানা দুই জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে যশোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টার। অপরদিকে টানা তিন হারে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে মণিরামপুর ক্রিকেট একাডেমি। অপরদিকে ‘খ’ গ্রুপ থেকে উপশহর ক্রিকেট একাডেমির সাথে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্লেমন আছিয়া ক্রিকেট ইন্সটিটিউট।
এদিন দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারালেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়। ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার হৃদয় মোল্লার ও দশ নম্বর ব্যাটার ইয়াসিন। হৃদয় মোল্লা ৩৫ বলে ৬টি চার ও একটি ছয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন। শেষ দিকে ইয়াসিনের ১২ বলে ৪টি ছয়ে ২৯ রান করেন। এরপাশে জুনায়েদ ১৫ বলে ১টি চার ও তিনটি ছয়ে ২৪ রান করেন। বল হাতে টাইগার ক্রিকেট একাডেমির ইফতি ৪ ওভারে ৪৩ রানে ৪টি ও বায়োজিদ ২টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ঢাকার ক্লাবটি। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২ রানে থামে তাদের দলীয় ইনিংস। ব্যাট হাতে মোর্শেদ ৫৮ বলে সমান ৬টি করে চার ও ছয়ে ৮৪ ও ইফতি ১৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ২৮ রান করেন। বল হাতে ক্লেমন আছিয়া ক্রিকেট একাডেমির রেজওয়ান হোসাইন ও আশিকুল ইসলাম নিলয় দুটি করে উইকেট দখল করেন।
একই স্থানে দ্বিতীয় ম্যাচে হিমেলের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে যশোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টার। ৫৬ বলে শতক করা হিমেল শেষ পর্যন্ত ১১০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি ছয় ও ৯টি চারের মার। এর পাশে মারুফ ২৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে ৩৭ করেন। বল হাতে মনিরামপুর ক্রিকেট একাডেমির অনিক ২৮ রানে ২টি, নাজমুল, আসিফ ও শাওন একটি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাঁহাতি স্পিনার ইমন ফারাজির বোলিং তোপে ১৫ ওভার দুই বলে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করতে পারে। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে আরাফাত ২৭ ও রহমান ১২ রান করেন। যশোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের ইমন ফারাজি ৪ ওভারে ১১ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন।