- ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক
- চৌগাছায় স্বতস্ফূর্ত হরতাল পালন
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই। প্রতিদিনই ঝরছে শত শত প্রাণ। বাদ যাচ্ছেনা নারী-শিশুরাও। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে দিনভর উত্তাল ছিল যশোর। সোমবার জেলার সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, ওলামা মাশায়েখ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন। দিনভর বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ও প্রতিবাদি শ্লোগানে উত্তাল ছিল যশোর।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ব বিবেক আজ নির্বিকার। কোথায় সেই মানবাধিকার? যেখানে শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা মুসলমান, আমরা একটি দেহের মতো। একজন মুসলিম কষ্টে থাকলে অন্যদেরও সেটা অনুভব করতে হবে। আজ আমাদের লজ্জা হয়, আমরা এখনও ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছি না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজার মা-বোনদের কান্না আজ বিশ্ববাসীর হৃদয় ভারি করে দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াব।
তারা বলেন, গাজার হত্যাকাণ্ড গোপনে হয়নি। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ঘোষণা করেছিল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার। প্রতিবেশী আরবদেশগুলো যেন তাদের জায়গা দেয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসরাইল এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তারা সবকিছু গুড়িয়ে দিয়েছে, সেখানে আর কেউ বেঁচে নেই।
প্রতিবাদী বিক্ষোভে হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণভাবে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ‘গাজার শিশু হত্যা বন্ধ করো’, ‘ইসরাইলি সন্ত্রাসের শেষ চাই’, ‘ফিলিস্তিনি মুক্তির সংগ্রামে আমরা আছি তোমাদের পাশে’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা
প্ল্যাকর্ড প্রদর্শন করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো হয়। আলআকসা রক্ষায় অবিলম্বে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
যশোরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা
সোমবার বেলা ১১টায় যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ভৈরব শহীদ চত্বরে সমাবেশ দিয়ে শুরু হয় প্রতিবাদী কর্মসূচি। সকালে দড়াটানা চত্বওে সমাবেশ করে ‘যশোরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা’।
‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে স্লোগানে যশোর শহরের রাজপথ প্রকম্পিত করে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘যশোরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা’ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর ঈদগাহ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেও প্রতিবাদী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজ, সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন। ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গণহত্যা বন্ধ কর’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’-এমন নানা স্লোগানে মুখর ছিল পুরো শহর।
পথসভায় বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন মুসলমানদের আত্মার অংশ। সেখানে চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা আরো বলেন, মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন আলআকসা মসজিদ আজ ভয়াবহ আগ্রাসনের শিকার। ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানকে ঘিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা মানবতাবিরোধী অপরাধ। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা। সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রাশেদ খান, লেখক গবেষক বেনজীন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জামায়াত
সোমবার বিকেলে শহরের কোট মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা জামায়াত ইসলামী। সমাবেশে অবিলম্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা। পরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুলের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মনিহার স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেও প্রতিবাদী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জায়নবাদী ইসরায়েল মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিনকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সমাবেশ থেকে ইসরায়েলের সব ধরনের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। বক্তরা বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিরীহ গাজাবাসীর উপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা, গণহত্যা প্রতিবাদ জানান।
যশোরে প্যালেস্টাইন সংহতি কমিটির বিক্ষোভ
প্যালেস্টাইনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ বলেছেন, গাজার হত্যাকাণ্ড গোপনে হয়নি। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ঘোষণা করেছিল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসরাইল এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে হলে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। একই সাথে তাদের এদেশীয় দালালদের বিরুদ্ধেও আমাদের দাঁড়াতে হবে। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মানবিক মানুষ, নারী শিশুসহ সবাইকে ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে আন্দোলনে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার বিকেলে যশোর শহরের মুজিব সড়কে প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্যালেস্টাইনে দখলদার গণহত্যাকারী ইসরাইলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং যুদ্ধ-ঘোড়া হিসেবে বিচারের দাবিতে সংহতি সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্যালেস্টাইন সংহতি কমিটি যশোরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক ইসরারুল হক, জিল্লুর রহমান ভিটু, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, মনজুরুল আলম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল হালিম মিঞার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী সরদার এর সঞ্চালনায় ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল জজ কোর্ট মসজিদ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে চৌরাস্তায় গিয়ে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তরা বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে জারজ ইসরাইল যে ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তা ইতিহাসের জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরব লীগসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর ভুমিকায় আমরা হতাশ।
বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা শাখার সহকারীসেক্রেটারি হাফেজ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশিক বিল্লাহ,প্রচার দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান,দপ্তর সম্পাদক মুফতি মইনুদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান,মাওলানা কাজী ইমদাদুল , শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না, সব অর্থ সম্পাদক মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ, সদর থানা সহসভাপতি মুফতি ওসমান গনি, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা সভাপতি মুফতি আবুজর বিন হাফিজ,জাতীয় শিক্ষক ফোরাম যশোর জেলার সেক্রেটারি প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মাওলানা ইমরান হোসাইন সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
যশোর জেলা ইমাম পরষিদ
যশোর জেলা ইমাম পরষিদ সোমবার বাদ আছর যশোররে দড়াটানা ভরৈব চত্ত্বরে গাজায় গণহত্যার প্রতবিাদে বিক্ষোভ সমাবশে ও মছিলি করেছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে র্সবস্তররে মুসলমানকে একাত্মতা এবং এতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান জেলা ইমাম পরষিদ যশোররে নেতৃবৃন্দ। সমাবশে ও মিছেলে যশোরের হাজার হাজার তৌহিদী জনতা অংশ নেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলনে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে র্ববরতা চালাচ্ছে তা পৃথিবীর সমস্ত নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জায়নবাদী ইসরাইল এবং তাদরে সহযোগীদরে সকল পণ্য বয়কটরে মাধ্যমে র্সবাত্মক প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়ার ডাক দেন।
মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরীর সভাপতিত্বে সমাবেেশ অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখনে জেলা ইমাম পরষিদরে সেক্রেটোরী মাওলানা বেলায়তে হোসনে, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা নাজির উদ্দীন, মুফতি শামসুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহমান এযাযী, মুফতি আমানুল্লাহ কাসেমী, মুফতি মাসউদুর রহমান, মুফতি উবায়দুল্লাহ শাকির, মাওলানা আরফিুল্লাহ আলমগীর, মাওলানা আবু হুরায়রা, মুফতি তাওহদিুর রহমান সহ প্রমুখ নতেৃবৃন্দ।
হিউম্যান রাইটস্ ভয়সে’র বিক্ষোভ
গাজায় গণহত্যা ও জবরদখল বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ ভয়েস বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখা। সোমবার সকালে যশোর শহরে ছাত্রজনতার মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনের কর্মীরা।
চৌগাছায় স্বতঃস্ফুর্ত হরতাল পালিত:
যশোরের চৌগাছায় ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির সমর্থনে স্বতঃস্ফুর্ত হরতাল পালিত হয়েছে। গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচির সমর্থনে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও সমাবেশ এবং হরতাল পালন করে। সকাল ১০টায় চৌগাছা প্রেসক্লাব চত্বরে সর্বস্তরের সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা গোলাম মোরশেদ, সহকারী সেক্রেটারী মাস্টার কামাল আহমেদ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের চৌগাছা উপজেলা আমীর হাফেজ মুফতী আব্দুল ওয়াদুদ, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেটারী মুফতি শিহাব উদ্দিন, খেলাফতে মজলিশের উপজেলা আমীর মুফতি রুহুল কুদ্দুস, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমন হাসান রকি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চৌগাছা উপজেলা আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রিতম, পৌরসভা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবিদ ফরহান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সভাপতি ফাহাদ আল তামিম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চৌগাছা ইসলামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম। সমাবেশ থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে দুপুর একটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত হরতাল পালনের আহবান জানানো হয়। দোকান বন্ধের বিষয়ে চৌগাছার লিলি বুক হাউজের সত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনিরা আমাদের ভাই। মুসলিম ভাইদের সমর্থনে হরতাল পালনের আহবান জানানোর পর আমরা নিজেদের উদ্যোগে দোকান বন্ধ রেখেছি।
চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফসিউজ্জামান লোটন বলেন, আমাদের ভাইদের উপর ইসরাইলিদের বর্বর আক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে প্রতিবাদ হচ্ছে সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আমাদের প্রতি দোকান বন্ধের আহবান জানানো হয়। আহবানে সাড়া দিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে দোকান বন্ধ করে হরতাল সফল করেছেন।
এদিকে সর্বস্তরের ছাত্রজনতার মিছিলের আগে খেলাফত মজলিশের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অপরদিকে আছর নামাজের পর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে চৌগাছা কামিল মাদরাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মিছিল শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করবেন তারা।