কপিলমুনি সংবাদদাতা
সব কিছু ঠিক হলেও টাকার অভাবে মায়ের দেয়া কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারছে না হজরত। কোন রকম ডায়ালাইসিস করে জীবন পার হচ্ছে অসহায় দরিদ্র হযরতের।
পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা ইসমাইল গাজী ও মর্জিনা বেগমের বড় ছেলে হযরত গাজী (২৬)। তার দুটি কিডনিই নষ্ট। চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুত হযরতের শরীরে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে না পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না। পরিবারে দুই ভাইয়ের মধ্যে হযরত গাজী বড়। স্ত্রী আর ৯ মাসের শিশু সন্তান মা-বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে ছয় জনের সংসার।
এদিকে হযরতের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে চা দোকানী বাবাও নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এক বছর আগে জন্ডিস ধরা পড়ে। খুলনার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানতে পারেন হযরত ও তার পরিবার। তাতে আকাশ ভেঙে পড়ে তাদের মাথায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হযরতের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে অপারেশন ও বিভিন্ন ফি বাবদ ৪-৫ লাখ টাকা খরচ হবে। একটি কিডনি ও অপারেশনের টাকা জোগাড় করার জন্য দীর্ঘ একবছর বছর বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্না দিলেও আশানুরূপ ফল মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে ছেলেকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে হযরতের পরিবার।
হযরতের মা মর্জিনা বেগম বলেন, আপনারা পাশে দাঁড়ালে ছেলেকে আমি আমার কিডনি দিয়ে বাঁচাতে পারতাম। সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নম্বর-০১৯৬০-৪৩৮২৪৮, হযরত ০১৪০২-৩৫৫২৬২ ।