বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে যশোরসহ খুলনা, ফরিদপুর ও বরিশালের প্রায় ২১ জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তবে সন্ধ্যা ৭টার পরে এসব এলাকায় কিছুটা বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু স্বাভাবিক হয়। জাতীয় সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, গত কয়েকদিন যাবত এসব জেলাতে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ভোগন্তিতে পড়েন ২১ জেলার বাসিন্দারা।
পিজিসিবির প্রকৌশলীরা বলছেন, উৎপাদনের চেয়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকলে সাধারণত ব্ল্যাকআউট বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। এটি ট্রিপ নামেও পরিচিত। যে অঞ্চলে এই ট্রিপ হয়, তার নিকটবর্তী বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়, ফলে সে কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে একের পর এক কেন্দ্র বন্ধ হয়ে পুরো গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তখন পিজিসিবি ট্রিপ করা এলাকাগুলো গ্রিডের বাইরে নিয়ে যায় বা বিচ্ছিন্ন করে জাতীয় বিপর্যয় প্রতিহত করে। এবারও সেটা করা হয়েছে, তা না হলে সারা দেশ ব্ল্যাকআউট হয়ে যেত। এর আগে ২০১৪ সালে এ রকম একটি ঘটনায় সারা দেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হওয়ার কারণে গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল।
ওজোপাডিকোর পরিচালন ও সংরক্ষণ যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অমূল্য কুমার সরকার জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চল ও পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকেই ত্রুটি মেরামত শুরু হয় এবং এবং বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তিনি জানান, যশোরে ঝিনাইদহ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে ঝিনাইদহ, মাগুরা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল বলে তিনি জানান।
এদিকে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ জানিয়েছে, বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক কারিগরি ত্রুটির ফলে সমগ্র বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের কিছু অংশ গ্রিড হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এসব এলাকাকে পুনরায় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।