বাংলার ভোর প্রতিবেদক
অনলাইনের যুগের ছাপানো বই পড়ায় আগ্রহ সৃষ্টি করতে যশোরের ২৬টি পাঠাগারে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বই বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এসব পাঠাগারের প্রতিনিধিদের হাতে বই তুলে দেয়া হয়।
চলতি বছর সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাঠাগার ও বৃদ্ধাশ্রমে মোট এক লাখ ২০ হাজার বই বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিকাশ। তাদের এ উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
বই বিতরণ অনুষ্ঠানে যশোরের ২৬টি পাঠাগারের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বন্ধুসভার উপদেষ্ঠা, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জ্ঞানসম্পন্ন জাতি বির্নিমাণে ছাপানো বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই বিতরণ, বই মেলা, গণিত উৎসবের মত কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রথম আলো সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
প্রথম আলো শুধু একটি পত্রিকা নয়; এটি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিকাশের মাধ্যমে প্রথম আলোর এই বই বিতরণ কর্মসূচি অন্যতম একটি ভালো কাজ।
নতুন প্রজন্মকে জ্ঞানসম্পন্ন জাতিতে পরিণত করতে হলে ছাপানো বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বলে বক্তারা জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা কথা বলেন, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, যশোর সরকারি মাইকেল মধূসূদন (এমএম) কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও সপ্তাহে একটি বই পড়ি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাহজাহান কবীর, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ, রুপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সভাপতি দীপংকর দাস রতন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি মুরাদ হোসেন।
যেসব প্রতিষ্ঠান বই পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- যশোর সদর উপজেলার শিশুর ভুবন আধুনিক বিদ্যালয়, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী যশোর জেলা সংসদ, বিবর্তন যশোর পাঠাগার, প্রথম আলো বন্ধুসভার অশোক সেন স্মৃতি পাঠাগার, সরকারি পাঁচবাড়িয়া বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াডাঙ্গা পাঠাগার, তির্যক যশোর, ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, এমএসটিপি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর বালিকা বিদ্যালয়, রায়মানিক একে বিশ্বাস ড্রিম স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা, সপ্তাহে একটি বই পড়ি, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার গ্রন্থগার, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র, সরকারি শিশু পরিবার, আমাদের বাড়ি পাঠাগার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যশোর জেলার শাখার আহসান মুস্তারি পাঠাগার, নব কিশালয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর কালেক্টরেট স্কুল, সখিনা বালিকা বিদ্যালয়, কেশবপুর উপজেলার নক্ষত্র সমাজ কল্যাণ সংস্থা, শার্শা উপজেলার আলোকিত নিশ্চিন্তপুর ও নিশ্চিন্তপুর পাঠাগার, ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলার অবিসংবাদী সাহিত্য সংঘ ও পারলার্ট পাবলিক লাইব্রেরি।
এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠাগারে শিশুতোষ ও বড়দের মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ৫২৬টি বই বিতরণ করা হয়েছে।