মনিরুজ্জামান মনির

যশোরের বোরো ধান নিয়ে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। ধান কাটা শুরু না হতেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার থেকে যশোর জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। এদিকে মাঠ ভরা কৃষকের ধানক্ষেত বাতাসে দোল খাচ্ছে। চৈত্রের শেষে বাংলা নতুন বছরের শুরুতে অসহনীয় দাবদাহে পুড়লেও চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের। ধান ঘরে তোলার সময় উপযোগী হওয়ার মুখে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঝড়-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

যশোর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, যশোরে শুক্রবার সারা দিনে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

সদর উপজেলার গোবরা এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, দু’বিঘা জমিতে ধান চাষ করছি। প্রায় পাকার মত হয়ে গেছে। বহু কষ্ট করে সার-পানি দিয়ে চাষ করছি। আশা করি ভালো ফলন হবে। কিন্তু আজ দু’দিন বৃষ্টি আর ঝড় হচ্ছে। সামনে কি অবস্থা হবে সেটা বলতে পারছি না। ধান ঘরে না তোলা পর্যন্ত টেনশনে আছি।

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আবহাওয়া এ বছরে ভালোই ছিল। কিন্তু যেই ধান পাকামুখি হয়েছে সেই আবহাওয়া খারাপ। যেভাবে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে ধান বাড়ি আসবে কিনা তা একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন। মাঠে কয়েকজন ধান কাটা শুরু করছে। আর তখনি বৃষ্টি আর ঝড়। কবে যে ঝড় বৃষ্টি থামবে তাও বলা যাচ্ছে না।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের উপপরিচালক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরে আগামী ৩ থেকে ৪ দিন ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে বোরো ধান এবং সবজির ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার আশংকা আছে। আমরা ভবদহ এলাকা নিয়ে একটু বেশি চিন্তায় আছি।

এখানে ভারি বর্ষণ হলে তলিয়ে যেতে পারে। এই মুহূর্তে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি যে ধান কর্তন উপযুক্ত হয়েছে সেটা ঘরে তুলে নিতে। আর যেগুলো কর্তনের মত হয়নি সেটা তো আর ঘরে তোলা যাবে না।

Share.
Exit mobile version