ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী মোশাররফ হোসেন নিহতের ঘটনায় এলাকায় চলছে ভাঙচুর ও লুটপাট। ঘটনার দিন বুধবার থেকে থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই গ্রামের উত্তর ও পুর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ওই গ্রামের উত্তর পাড়ার বিএনপি নেতা আমজাদ বিশ্বাস, আরমান বিশ্বাস, ইবাদত বিশ্বাস, পূর্ব পাড়ার ইয়ারুল বিশ্বাস, দেলোয়ার জোয়ার্দ্দার, রহিম উদ্দিনসহ গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে এক কৃষাণীর গোয়াল থেকে গরু খুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে গরু ফেলে পালিয়ে যায় লুটকারীরা। এ ছাড়া ঘরে থাকা ধানচাল আসবাবপত্র ফ্রিজসহ সকল প্রকার জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সন্ধ্যা হলে যেন আতঙ্কের এক নাম দিঘির পাড় গ্রাম। পুরুষশূন্য বাড়িতে নারীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। রান্না করার হাড়ি পাতিল নিয়ে গেছে। দুইদিন ধরে তারা অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখন এজাহার না দেয়ায় মামলা হয়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দিলে আমরা মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। দীঘির পাড় গ্রামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।