বাংলর খেলা
সেই ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগারটি করেছিলেন স্পিনার ইলিয়াস সানি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান দুবার ৫টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। মোসাদ্দেক হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছিলেন ১বার করে ৫ উইকেট।
কিন্তু টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো বোলার ৫টির বেশি উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই হেরে বসেছিলো টাইগাররা। শেষ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন।
এই ম্যাচে এসেই জ্বলে উঠলেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি শুধু সেরা বোলিংই করলেন না, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ৬ উইকেট শিকারি বোলারে পরিণত হলেন। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে তিনি নিলেন ৬ উইকেট। একটি মেডেনও ছিল তাতে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গত বছর মার্চে চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব দেখান তিনি। এরপর প্রায় এক বছর বিরতি দিয়ে কোনো বোলারের ৫ উইকেট এলো বাংলাদেশের। তবে, এবার সেটা এলো আরও শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে। ১০ রানে ৬ উইকেট দিয়ে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগার এক মালয়েশিয়ান বোলারের। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন সিয়াজরুল ইদরুস। ৬ উইকেট রয়েছে প্রায় ১৯জন বোলারের। সেখানে যুক্ত হলেন মোস্তাফিজুর রহমান।