বাংলার ভোর প্রতিবেদক
দুর্গাপূজায় পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও যশোর শহরের বড়বাজারে ভারতীয় মার্কেট বলে খ্যাত হাটচান্নিতে বিপুল পরিমাণ পটকা মজুদের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বড়বাজার এলাকার হাটচান্নির অঞ্জন সাহা ও শিহাব সেলিম মিম আরজুর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত চোরাকারবারি ও ব্যবসায়ীদের একটি সিণ্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নাকের ডগায় পকা বাজির মজুদ ও বিক্রি করে চলেছে। আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে তা বেড়েছে কয়েক গুণ।
গোহাটা রোড, হাটচাঁদনী মার্কেট ও বড় বাজার এলাকার ওই সিণ্ডিকেটে সেলিম, মিম, আরজু, সাকিব, তন্ময় ইসলাম মিম, আমির, খোকন, কালু, আবু তালেব, সরদার, ছাত্তার, মিন্টু, শহিদুল, মহিউদ্দিন, জয়নাল, ইকমল, জাফর মাস্টারসহ আয়ো বেশ কয়েকজন মিলে চালায় এ সিণ্ডিকেট। এসব চোরারকারবারিরা মূলত ভারতীয় কসমেটিক্স, চকলেট ও পটকা অবৈধভাবে নিয়ে এসে ব্যবসা করে।
অভিযোগ রুয়েছে জনৈক টুটুল পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে থাকে। চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার সেলিম সিন্ডিকেট শহরের স্টেশন এলাকায় মাল রেখে ব্যবসা করে। মিম মাল এনে মজুদ করে বারান্দিপাড়া কদমতলা এলাকায়।
আরজু তার বকচরের ডেরায় মাল রেখে অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করে। তালবাড়িয়া স্টোরের আবু তালেবের বিরুদ্ধেও রয়েছে পটকাবাজি বিক্রির অভিযোগ। যশোরের চৌগাছার মাসিলা, পুড়াপাড়া, শাহজাদপুর, শার্শা, বেনাপোলের শালকোনা, গাতীপাড়া, পুটখালী, সাদীপুর, বড়আঁচড়া, ছোটআঁচড়া ও সাতক্ষীরার কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে এসব সিণ্ডিকেটের মালামাল আনা নেয়া করে। আর এসব মালামাল বিভিন্ন ছোট ছোট বাহকের মাধ্যমে পৌছে যায় নড়াইল, লোহাগড়া, ফরিদপুর, টেকেরহাট, ভাঙ্গা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, বরিশাল, ঢাকার চকবাজার ও নবাবপুরে।
এমনকি মোবাইল ফোনে চুক্তির পর সুন্দরবন, এসএ পরিবহন, আফজাল, রেইনবো, সোনারগাঁ ট্রান্সপোর্টেও দেয়া হয় মালামাল বুকিং। রাস্তায় প্রশাসনিক ঝামেলা এড়াতে এসব মালের কার্টুনে ভুয়া লেবেল ও স্টিকার সাটানো হয়।
প্রসঙ্গতঃ চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বড় বাজারে র্যাব ৬ ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জামিরুল এন্টারপ্রাইজের কালু ও মা এন্টারপ্রাইজ এর তন্ময়কে বিপুল অংকের ভারতীয় কসমেটিকসহ আটক করে।
এই অভিযানে অঞ্জন সাহা, নুর ইসলাম, সরদার, মিন্টু, সাকিব, সাত্তার পালিয়ে গিয়েছিল। এদের নামে এখনো মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ কসমেটিক্স এবংপটকাবাজির বিষয়ে তারা খোঁজখবর নেবেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। খোঁজ খবর নিয়ে নিষিদ্ধ ভারতীয় পন্য ও পটকাবাজির ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।