বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারি সম্পত্তি দখলের প্রবণতা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় আজ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে মাসিক নদী রক্ষা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, নদী, খাল, বিল, পুকুর রক্ষার্থে সকলকে সচেতন হতে হবে। আমরা যদি এটি রক্ষা করতে না পারি তাহলে আগামীতে চরম মূল্য দিতে হবে। সরকারি ভূমি দখল করে যারা স্থাপনা বানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে করে নদীর পাড় দখল, পুকুর ভরাট করে অনেকেই স্থাপনা তৈরি করছে এগুলো বন্ধ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের আমরা জানতে পারছি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব কি। এসময় তিনি সকল সরকারি কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেককে আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাহলে জটিলতা কম হবে। যতদ্রুত সম্ভব জটিলতাগুলো কাটিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করার আহ্ববান জানান তিনি।
সভায় নদী রক্ষা কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, নদীর পাড়ে অবস্থিত যেসকল প্রতিষ্ঠান নদীতে বর্জ্য ফেলে নদী দূষণ করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়াসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নদীর সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, আগামী একমাসের মধ্যে জেলার ১৯টি নদীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে পরিপূর্ণ আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নদী সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে ব্রিজ নির্মাণের পূর্বে বসে সভা করে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধাণ করতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরে নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা আক্তার , প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।