বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলায় নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় বাগআঁচড়ার আব্দুল কুদ্দুস নামে একজনকে অব্যাহতির দেয়ার আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। তদন্ত শেষে আদাতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ ফজলুল হক।
অভিযুক্ত আসমিরা হলো, শার্শার নিজামপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মিন্টু, গোকর্ণ গ্রামের ওলিয়ার রহমান, দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ, সিরাজুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, আবুল হাসান জহির, ওয়াছি উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, উত্তর বুরুজবাগান গ্রামের সুন্নত আলী, ইব্রাহিম কবির রাসেল, আতিয়ার রহমান দলু বিশ^াস, বড় বসন্তপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ডাবলু খান, ফুলসর গ্রামের নাসির উদ্দিন, মাটিপুকুর গ্রামের সবুজ হোসেন খান, শ্যামলাগাছি গ্রামের পিন্টু, আশরাফুল আলম বেড়ে বাবু, কাজীর বেড় গ্রামের ইসমাইল হোসেন শান্তি, লাউডাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ মেম্বার, রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান খোকন, আমির হোসেন, ধলদাহ গ্রামের আমিনুর রহমান নেদা, বাগুড়ী গ্রামের মশিয়ার রহমান, তাজউদ্দিন, রাড়ীপুকুর গ্রামের জুয়েল হোসেন, রুদ্রপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান, কায়বা গ্রামের শাহাদৎ হোসেন, অগ্রভুলোট গ্রামের বাবুল হোসেন, স্বরূপদাহ গ্রামের ওসমান আলী, বেনাপোলের বড় আঁচড়া গ্রামের মোস্তাফিজ জোহা সেলিম, মহিষা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস গোলদার, বাগআঁচড়া গ্রামের মেহেদী হাসান, রওশন আলী, গোড়পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান, বেলতা গ্রামের ছাফদার আলী, টেংরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক তরফদার, আক্তারুল ইসলাম মোড়ল, আব্দুর রজ্জাক, যাদবপুর গ্রামের মাসুম বিল্লাহ, পাকশিয়া গ্রামের এসএম আব্দুল হক, নৈহাটি গ্রামের কাবিল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, লক্ষনপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম মোড়ল, রামচন্দ্রপুর গ্রামের শাহ জামাল মন্ডল, মনিরুজ্জামান মোড়ল, নিজামপুর গ্রামের মইনুদ্দিন, পন্ডিতপুর গ্রামের নুর হোসেন ভুইয়া ও পান্তাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মোল্যা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৩ নালের ১ অক্টোবর রাতে শার্শা থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের বিএনপি নেত আবুল হোসেন জহিরের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে ৯ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ব্যাগের মধ্যে রাখা ৫টি ককটেল, বাঁশের লাঠি, ইটের টুকরা, লোহার রড ও একটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান আটক ৯ জনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে শার্শ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় ওই ৪৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত সকল আসমিরা হাইকোর্ট ও জজ কোর্ট থেকে জামিনে আছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।