বাগআঁচড়া সংবাদদাতা
যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় নিম্নমানের ভুসি, ধানের কুড়া ও অল্প দামের আটা মিশিয়ে ভেজাল গো-খাদ্য তৈরি করে বাজারজাতকরণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে। পরে ওই ভেজাল গো-খাদ্য দেশের নামিদামি কোম্পানি বসুন্ধরা ভুসির লেভেল লাগিয়ে বস্তায় ভরে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে সাধারণ ক্রেতা ও গরু খামারিরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারে কয়েটি পয়েন্টে রাতের আঁধারে গোডাউনের দরজা বন্ধ করে গোপনে নিম্নমানের ভুসির সাথে ধানের কুড়া ও অল্প দামের আটা মিশিয়ে বসুন্ধরা কোম্পানির খালি বস্তায় ভরে সেগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেছে একটি চক্র। এর অন্যতম কারণ হলো অন্যান্য কোম্পানির ভুসির চেয়ে সাধারণ ক্রেতা ও খামারিদের কাছে বসুন্ধরা কোম্পানির ভুসির কদর একটু বেশি।
রোববার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, বাগআঁচড়া ময়ূরী সিনেমা হলের উত্তর পাশ্বে আনছার আলীর গোডাউনে দিনের বেলা চলছে নিম্নমানের ভুসির সাথে ধানের কুড়া ও আটা মেশানোর কাজ। পরে সেগুলো বসুন্ধরা কোম্পানির খালি বস্তায় ভরে নতুন করে মেশিনের সাহায্যে মুখ সেলাই করে পাঠানো হচ্ছে বাজারের বিভিন্ন দোকানে। আর এই নকল ভুসি তৈরির মুলহোতা বাগআঁচড়া বাজারে শামীম ট্রের্ডাসের মালিক শামীম হোসেন।
অভিযুক্ত শামীম হোসেন জানান, আমি একা এ কাজ করি না। বাজারের আরো ৫ থেকে ৬ জন ব্যবসায়ী এ কাজ করেন। কারা কারা এ কাজে জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শংকপুর রোডে পূজা মন্ডপের পাশে, বাবু চেয়ারম্যান মার্কেটের ভিতরে অনেকেই এমন কাজ করেন। এ সময় তিনি বলতে থাকেন শুধু আমাকে দোষারোপ করেন না অন্যরা যারা করছে তাদের বিষয়েও নিউজ করেন।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু সাহা জানান, গো-খাদ্যে ভেজাল মেশানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব ভেজাল খাদ্য খেলে গবাদিপশুর স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, ভেজাল গো-খাদ্য তৈরির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।