বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ভবদহ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে সরকার নির্ধারিত কৃষিঋণ বিতরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সহজ শর্তে কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে কৃষিঋণ দেয়ার কথা থাকলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংক এই ঋণ বিতরণে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ভবদহ এলাকার জনপদের সার্টিফিকেট মামলা, হয়রানি বন্ধ ও চড়া সুদে ঋণ মওকুফসহ তিন দফা দাবিতে কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকের কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় কৃষক ক্ষেত মজুর সমিতি জেলা শাখা। রোববার সকালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এই চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক কৃষকদের ঋণ প্রক্রিয়াকরণে জটিলতা সৃষ্টি করছে এবং হয়রানির অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের কৃষি কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জলাবদ্ধ ভবদহ জনপদে ব্যাংক ঋণ, এনজিও ঋণ আদায় আপাতত স্থগিত ও সার্টিফিকেট মামলা হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সারাদেশে কৃষি ঋণের সুদ শতভাগ মওকুফ করতে হবে। জলাবদ্ধ ভবদহ জনপদের ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করতে হবে এবং সারাদেশে ১০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ মওকুফ করতে হবে।
চিঠিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিসমূহ মানা না হলে বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
চিঠি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম উর রহমান, জেলা কমিটির নেতা অনিল বিশ্বাস, শাহাবুদ্দিন বাটুল, পলাশ বিশ্বাস, সাধন বিশ্বাস, কানু বিশ্বাস, দিলীপ বৈরাগী প্রমুখ। চিঠি গ্রহণ করেন কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যাবস্থাপক (যশোর অঞ্চল) এনায়েত করিম।