কেশবপুর সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুরে সরকারি কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করা হয়েছে। ওই কালভার্ট দিয়ে পাঁচটি বিলের পানি নিস্কাশিত হয়ে থাকে। এভাবে কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকলে বর্ষা মৌসুমে পানি সরতে না পারলে এলাকায় দেখা দেবে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা।
অভিযোগ উঠেছে, এলাকার প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে ওই স্থান সংলগ্ন জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করে কালভার্টটির মুখ বন্ধ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল আমতলা নামক স্থানে প্রধান সড়কের পাশে কালভার্টের সামনে ট্রাকে করে মাটি এনে ভরাট করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কালভার্টের সামনের জমি মণিরামপুরের চিনাটোলা এলাকার শিমুল হোসেনসহ কয়েকজন কিনে সেখানে ভবন নির্মাণ করতে মাটি দিয়ে ভরাট করছেন। জমি ভরাটের আগেই তারা কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। এই কালভার্ট দিয়ে কেশবপুরের বলধালি, হাবাসপোল, মধ্যকুল এবং মণিরামপুরের হাসাডাঙ্গা ও আটঘরা বিলের পানি নিস্কাশিত হয়ে থাকে।
গত বর্ষা মৌসুমে কালভার্ট এলাকা প্রায় ছয়মাস জলাবদ্ধ ছিল। এলাকার মধ্যকুল ও হাবাসপোল গ্রামের মানুষের বাড়িঘরে জলাবদ্ধ পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই সড়কে টংঘর বানিয়ে আশ্রয় নেয়। মধ্যকুল গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল মালেক বলেন, কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বর্ষাকালে কালভার্ট দিয়ে পানি সরতে না পারলে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাবে। তখন আবার রাস্তায় টংঘর বানিয়ে থাকতে হবে।
এলাকার সাবেক পৌর কাউন্সিলর আয়ুব খান বলেন, এই সরকারি কালভার্টের মুখ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পাঁচটি বিলের পানি নিস্কাশন হয়ে হরিনদ নদে যায়। এভাবে কালভার্ট বন্ধ করে দিলে বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মানুষের ব্যাপক সমস্যা হবে। বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে কালভার্টের মুখ বন্ধ করায় তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কালভার্টের সামনের জমির মালিক শিমুল হোসেন বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। মাটি ভরাট শেষ হলে নিজ উদ্যোগে নতুন একটি কালভার্ট করে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ বলেন, ঘটনাস্থলে পৌর ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া কালর্ভাটের মুখ খুলে দিতে বলা হয়েছে। কালভার্টের মুখ খুলে না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।