শ্যামনগর প্রতিনিধি
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদচন্ডিপুর বনবিবিতলা এলাকার মির্জা পাড়ার রাস্তার পাশে ১০ বছর ধরে ভাঙ্গাচোরা টং দোকান দিয়ে পরিবারের চার জন সদস্য নিয়ে অভাবে ও কষ্টে সংসার চালাচ্ছে ৪৫ বছর বয়সি মহিউদ্দিন সরদার। দোকানে তিনি চকলেট, বিস্কুট, মুড়ি, বাদাম, বুটসহ বাচ্চাদের বিভিন্ন খাবার বিক্রি করে থাকেন।
প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকার ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলে তার দোকানের ক্রেতা।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা মহিউদ্দীন বৈবাহিক কারণে পৈত্রিকা পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে শ^শুরালয় এলাকায় বাস করেন। শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থাও খুব বেশি ভালো না হওয়ায় সংসারের ঘানি টানতে প্রথমে এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। পরে শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ হওয়ায় বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি খুপড়ি টং দোকান দেন। ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটির আয় থেকে দুই সন্তান আর স্বামী-স্ত্রী চারজনের সংসারে ভরণ পোষণ হয়। ছেলেটা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে আর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র দুই বছর। সামান্য ব্যবসার আয়ে সংসারের খরচ ও সন্তানদের লেখা পড়া খরচের আর আবদার পূরণ হয়না।
অর্থকষ্ট আর মনোকষ্ট নিয়ে সামান্য ব্যবসা করেও দু’বেলা দু’মুঠো খেয়েও খুশি মহিউদ্দিন। তিনি জানান, হালাল উপার্জন থেকে যেটুকু জোটে তাতেই শুকরিয়া। কষ্ট করে হলেও আমার সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করতে চাই। তাদের যেন আমার মত এমন কষ্টকর জীবন-যাপন চালাতে না হয়। ছেলেকে স্কুলে পড়াচ্ছি। ছোট মেয়েটাকেও পড়াতে চাই।
৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহাতাব উদ্দিন সরদার বলেন, লোকটি আমার ওয়ার্ডে বসবাস করে। তিনি অসহায় এবং অনেক ভালো মানুষ। আমি চেষ্টা করি সব সময় তার এবং তার পরিবারের সহযোগিতা করার জন্য।