বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শ্রমিকের স্বার্থে রাতদিন কাজ করে যাওয়া এক শ্রমিক নেতার নাম ‘শাহেদ হোসেন জনি’। মা নাজমা বেগম গৃহিণী হলেও পিতা আশরাফ আলী ছিলেন শ্রমিক নেতা। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে জনি বড়। ১৯৯৬ সালে এসএসসি পাসের পর পারিবারিক অনাটনের কারণে পরিবহনে ড্রাইভার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার ছোট ভাইও একজন পরিবহন চালক। সহজ সরল মানসিকতার শ্রমিকদের মাঝে পরিচিতি পান জনি ভাই নামে। ইতিমধ্যে তিনি যশোর পরিবহন শ্রমিক সংস্থা ২৭৭ এর তিনবারের সহ-সভাপতি। সেই পদে থেকেই শ্রমিকদের বৃহৎ স্বার্থে এবারের বোটের মাঠে নেমেছেন সভাপতি পদে। আজ ১৭ মে নির্বাচনে সভাপতি জয়ী হতে পারলে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি, নায্য অধিকার আদায়ে কাজ করবেন। তার নির্বাচনী প্রতীক হেলিকপ্টার।
কথা হয় শ্রমিক নেতা জনির সাথে। তিনি বলেন, আমি একজন পরিবহন শ্রমিক। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে বাধাবিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তখন নেতৃত্বের প্রয়োজন থেকেই নেতার জন্ম হয়। আমি মনে করি একজন ভালো শ্রমিক নেতা হতে হলে প্রথমে তাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে শ্রমিক ভাতার সঠিক বন্টন, মৃত্যু দাবি যথাসম্ভব দ্রুত পরিশোধ, শ্রমিকদের আধুনিক মান উন্নয়নে কাজ করা, সাধারণ শ্রমিকরা যাতে দ্রুত একজন নেতার সাহায্য পেতে পারে তার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে চাই। আমি ২২৭ শ্রমিক ইউনিয়নের এমন একটা পরিবর্তন করতে চাই। বিগত দিনে যশোরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হয়ে অনেকেই চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এবং শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করেছেন। হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তিনবারের সহ-সভাপতি হয়েও কিছুই করতে পারিনি। এখনও নুন আনতে পান্তা ফুরাই অবস্থা। তারপরও আমার প্রিয় শ্রমিক ভাইদের স্বার্থে অনেক কিছু ত্যাগ করে চলছি, আগামীতেও করব।