বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে বিএনপি এক নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু এক পরিবারের জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ওই পরিবারকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগও করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ইউনিয়ন ওই বিএনপি নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বিমল চন্দ্র রায়। তিনি উপজেলা চালুয়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন চালুয়াহাটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মুসার ভাতিজা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বিমল চন্দ্র রায় বলেন, পরিবারের ক্রয়সূত্রে চালুয়াহাটি ইউয়িনের রত্মেশ্বরপুর মৌজার আরএস ২৩৭ দাগে ১ দশমিক ১ শতক, ৮৯৪ দাগে ৩ দশমিক ৯ এবং ৮৯৫ দাগে ২ দশমিক ৭০ শতক জমি ৫০ বছর যাবত ভোগ দখল করে দখল করে আসছি। নেংগুড়াহাট বাজারের অবস্থিত জমিতে দোকানপাট ও গাছগাছালি রয়েছে। সম্প্রতি এই জমির উপর কুদৃষ্টি পড়ে বিএনপি নেতা মুসার ভাতিজা জসিমের। নানা ষড়যন্ত্র করে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবহিত করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৬ আগস্ট জসিম তার লোকজনদের নিয়ে জমিটি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। এবং তারা প্রচার শুরু করে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেই, এখন আমরা যা বলবো তাই হবে। জসিমের চাচা উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা হওয়াতে এই দুর্দিনে কেউ পাসে আসছে না সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বর্তমানে আমাদের সম্পত্তি হারিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হওয়াতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিমল চন্দ্র। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত জসিমের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মুসা বলেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা। প্রায় ২০ দিন আগে স্থানীয় স্বপন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে নায্যমূল্য জমিটি ক্রয় করেছে আমার ভাতিজা। যার কাগজপত্র তা কাছে আছে। সেখানে বৈধভাবেই দোকান নির্মাণ শুরু করেছেন। কোন দখলদারিত্ব কায়েম করেনি।