মণিরামপুর সংবাদদাতা
যশোরের মণিরামপুর সরকারের সোলার সড়ক বাতি ও সোলার প্যানেল স্থাপনে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে! পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে লাগানো হয়েছে স্ট্রিট লাইট (সড়ক বাতি) ও সোলার প্যানেল। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে পৌর এলাকায় স্থাপন ও পরিবেশ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের বাজেট ১ কোটি ৯৯ লাখ। বাস্তবায়নকারী সংস্থা মণিরামপুর পৌরসভা। এ প্রকল্পে ১৪৮টি সোলার সাইট দেখানো হলেও বাস্তাবে আছে ১৪৫ টি। যার মধ্যে পরিপূর্ণ আলো দিচ্ছে মাত্র ২৭ টি। বাকিগুলো ক্ষীণ আলোতে কিছু সময় পর পর মৃদু আলো জ্বলে কিংবা জ্বলেনা।
প্রকল্পে প্রতিটি সোলারের মূল্য ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৪১ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানা যায় চায়না যে সোলার ব্যবহার করা হয়েছে তার মূল্য দেখা যায় মাত্র ৪৫ হাজার টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, কয়েক মাস যেতে না যেতেই স্থাপন করা বাতির আলো চলে গেছে। কম স্থায়িত্বের এলইডি সংযোজন ও নিম্নমানের সৌর প্যানল স্থাপন করায় এ অবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
অনেকের দাবি, ওই বিশাল অংকের টাকার সঠিক ব্যবহার হলে সড়ক বাতি ও সোলার প্যানেলগুলোর এই বেহাল অবস্থা হতো না। যদিও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দ্বারা প্রকল্পের কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও করেছে পৌরসভা প্রশিক্ষিত জনবলহীন পৌর কর্তৃপক্ষ।
নির্ভরযোগ্য সূত্র ও কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানায়, এ বরাদ্দের একটি অংশ ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় স্থানীয় জনগণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে পৌরসভার প্রকৌশলী বলেন, সবগুলো সোলার লাইট বসানো হয়েছে এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি। তবে কি মানের সোলার লাইট ব্যাবহার হয়েছে এটা আমি বলতে পারবো না। চুক্তি রয়েছে মূল বরাদ্দের ১০% অর্থ তিন বছরের জন্য (সার্ভিস বাবদ) পৌরসভায় জমা থাকবে। যেকোন সময় সড়ক বাতি খারাপ বা নষ্ট হলে পুনরায় ঠিক করে দেবেন তারা।
এ বিষয়ে মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এখন প্রোগ্রামে আছি পরে কথা বলবো।