বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যোগদানের সাড়ে ৬ মাস পর প্রত্যাহার হলেন যশোরের পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদ। সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের হেডকোয়াটার্সের ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী ফজলুল করিমের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে প্রত্যাহার হেডকোয়ার্টারে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। গেল বছরের ৩১ আগস্ট নয়া পুলিশ সুপার হিসেবে যশোরে যোগদান করেন জিয়াউদ্দিন। তাঁর মেয়াদে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট দেশের ২৪ জেলার এসপি পদে রদবদল হয়। ওই সময়ে যশোরে নতুন পুলিশ সুপার আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত যশোরে অর্ধশতাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পরে আসামি বা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারলেও হত্যা প্রতিরোধ করতে পারেনি। এছাড়া গেল সাড়ে ছয় মাসে বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যশোরে ১৫টি দুর্ধর্ষ ডাকাতি, অন্তত ৩০টি দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় একটিরও কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি লুণ্ঠিত টাকা ও মালপত্র। এতে দিন দিন আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত জেলা শহরে চুরি ছিনতাই ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যার পরে অনেক সচেতন বাসিন্দা বাইরে বের হতে অনেকেই আতংকিত বোধ করেন। সব মিলিয়ে যশোরে আইনশৃঙ্খলা চরম অবনিত হয়েছে। দেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনিপি ও জামায়াত যশোরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।