বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি দাস পাড়ার চয়ন দাস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সোহাগ দাসকে গ্রেপতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআাই) সদস্যরা। ৭ মে রাত ৮ টার পর শহরের পালবাড়ী মোড়ের ওয়ালটন শো’রুমের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকার গোপাল দাসের ছেলে। ৮ মে বুধবার দুপুরে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পিবিআই যশোর ইউনিটের এসআই রেজোয়ান জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাত ৯ টায় চুড়ামনকাঠি কুন্ডুপাড়ায় নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার বিষয় নিয়ে চুড়ামনকাটি দাশপাড়ার কিছু ছেলের সাথে শানতলা দাসপাড়ার কিছু ছেলেদের মধ্যে গোলযোগ হয়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আপোষ-মিমাংসা করে দিলেও পরের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিকরগাছা উপজেলারর মল্লিকপুর নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে চুড়ামনকাটি দাসপাড়ার এবং সোহাগ দাসসহ শানতলা দাসপাড়ার অনেক ছেলেরা যায়।
সেখানে আসামিদের সাথে বাদীপক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি এবং মারামারি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বাদী পক্ষের স্বাধীন, দ্বীপ ও জীবন জখম হয়। চয়ন দাস চুড়ামনকাটি লোকজনের সাথে জখমিদের দেখার জন্য হাসপাতালে যান।
হাসপাতাল থেকে চুড়ামনকাঠির লোকজনের সাথে চয়ন দাসসহ ৯/১০ জন বাড়িতে ফেরার পথে গত ২৫ মে রাত ১২ টা বেজে ৫০ মিনিটের সময় শানতলা পেপসি কোম্পানির ১ নং গেটের সামনে পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপরোক্ত সোহাগ দাসসহ এজাহার নামীয় অপর আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন আসামি চয়ন দাসসহ তার সাথে লোকজনকে পথরোধ করে এবং খুন করার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। সোহাগ দাসসহ অন্যান্য আসামিদের মারপিটের ফলে বাদীর ছেলে চয়ন দাসসহ অন্যান্যরা জখম প্রাপ্ত হয়। চয়ন দাসকে মারপিট করে সোহাগ দাসসহ তার সহযোগী আসামিরা রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। সোহাগ দাস চয়ন দাস হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে কর্মকর্তার প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পান বলে জানিয়েছেন।