বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরতলীর আরবপুরের একটি কওমী মহিলা মাদরাসায় এক শিক্ষার্থী ধর্ষিত হয়েছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা কোতয়ালি থানায় এজাহার করেন। তবে, অভিযুক্ত মাদারাসা প্রধান আবুল কাশেম পালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়ের পিতার অভিযোগ, মেয়েটিকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য আরবপুর হযরত ফাতেমা (রাযি:) কওমি মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। সে আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলো। কাল সোমবার ১১ মার্চ আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারি মাদরাসার প্রধান গত এক মাস ধরে মেয়েটিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। এতদিন লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি মুখ খোলেনি। পরশুদিন ১০ মার্চ আমার স্ত্রী মেয়েটিকে নানা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য মাদরাসা থেকে বাড়িতে আনে। এরপর মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। স্ত্রীর মুখে সব কথা শোনার পর আমি নিজেই মেয়ের কাছ থেকে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে থানায় অভিযোগ করি। এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত আবুল কাশেম।
প্রসঙ্গত, এ মাদরাসাটি এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর মাদারাসা নামে সর্বাধিক পরিচিত।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত আবুল কাশেমের স্ত্রী আমাতুল্লাহ তাছলিমার দাবি তার স্বামীকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে, অপরাধ প্রমাণিত হলে তিনি শাস্তি চান।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন-ভিকটিমের পিতা এজাহার দিয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।